অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরে নাজমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালিয়ে যান অভিযুক্ত স্বামী ওমর ফারুক (৩৬)।
রোববার (১২ মার্চ) সকালে মহানগরীর পূবাইল থানার করমতলা এলাকায় সুমনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নাজমা ও ফারুক ওই বাসায় ভাড়া থেকে পূবাইলের তালটিয়া এলাকার ম্যাক্স কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করতেন।
নিহত নাজমা খাতুনের বাবা মাহমুদ আলী বলেন, ‘নাজমার প্রথম স্বামী ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। দুই বছর আগে মেয়ে পূবাইলে চলে আসে। সেখানে একই কারখানায় চাকরির সুবাদে ওমর ফারুকের সঙ্গে নাজমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিয়েও করে।’
মাহমুদ আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়ের জন্য জমানো ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে ফারুক। টাকার জন্য প্রায় আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। সুখের কথা ভেবে ৩ লাখ টাকা জামাই ফারুককে দেই। সেই টাকা দিয়ে নাকি গ্রামের বাড়ি গরু ও কিছু জমি কিনেছে। বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিলে সেটাও সপ্তাহ দুই আগে আমার মেয়ের হাতে বুঝিয়ে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার সকালে মেয়ের খবর নেওয়ার জন্য ভাড়া বাসায় গেলে নাজমা ঘুমাচ্ছে বলে ফারুক আমাকে কৌশলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এবং জানায়, নাজমা ঘুম থেকে উঠলে তারা নারায়ণগঞ্জে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যাবে। দুপুরে মেয়ের ভাড়া বাসা তালাবদ্ধ দেখে ফেরত চলে যাই। সন্ধ্যায় মোবাইলে কল দেওয়া হলে বারবার কেটে দেয়। রোববার সকালে ভাড়া বাসার লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পায় ঘরের বিছানায় নাজমার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। ফারুক আমার মেয়েকে খুন করে পালিয়েছে।’
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার রাতে নাজমাকে হত্যার পর স্বামী ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।