গীবত বা পরনিন্দা করা একটি নিন্দনীয় চরিত্র। এটা মানব সমাজের পরস্পরের প্রতি হিংসাÑবিদ্বেষ, ঘৃণা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি করে। মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও হাদীসে গীবত প্রসঙ্গে অতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কোরআন মাজীদে আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার ন্যায় গর্হিত কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর হাদীসে একে ব্যভিচার অপেক্ষা জঘন্যতম অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
১. শেষ বিচার দিবসে কোন বান্দা তার আমলনামা খোলা অবস্থায় দেখবে এবং তার ভেতর দৃষ্টিপাত করবে। সে তাতে এরূপ কতকগুলো নেকী দেখতে পাবে, যা সে করেনি। তখন সে বলবে, “হে রব! এটা আমার জন্য কোথা থেকে আসল?” আল্লাহ্ বলবেন, “এটা সে সব কুৎসা, যা তোমার বিরুদ্ধে মানুষেরা বর্ণনা করেছিল। অথচ তুমি তা অনুভব করনি।” আবূ নুয়াইম আলোচ্য হাদীসখানা হযরত শাবীব ইবনে সা‘দ বালাবী থেকে বর্ণনা করেছেন।
২. শেষ বিচার দিবসে বান্দাকে তার আমলনামা খোলা অবস্থায় দেখানো হবে। সে তাতে এরূপ কতকগুলো সাওয়াব দেখবে, যা সে আমল করেনি। সে বলবে, “হে প্রতিপালক! আমি এ সওয়াবগুলি অর্জন করিনি।” তিনি বলবেন, “লোকগণ তোমার নিন্দা করেছিল, তারই পরিবর্তে আমি এগুলি লিখেছি।” আর অপর এক বান্দার সামনে শেষ বিচার দিবসে তার আমলনামা খুলে দেয়া হবে। সে বলবে, “হে প্রতিপালক! আমি কি অমুক দিন অমুক সওয়াবের কাজ করিনি? তখন তাকে বলা হবে, “তুমি মানুষের নিন্দা করতে। ফলে সেসব সওয়াব তোমার আমলনামা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। ”খারায়েতী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবূ উমামা (রাঃ)এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
Leave a Reply