অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে চলমান লড়াইয়ে গোলাবারুদ না পেলে চরম বিপদের সম্মুখীন হবে রুশ বাহিনী। রবিবার (৫ মার্চ) টেলিগ্রামে মস্কোর ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সতর্ক করে বলেন, সেনারা দ্রুত গোলাবারুদ না পেলে বাখমুতের চারপাশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। এমনকি বাখমুতের কাছে রাশিয়ার ফ্রন্ট লাইনে ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ১৫৫তম ব্রিগেডের নেতারা বাখমুতের দক্ষিণে ভুহলেদার শহরের কাছে লড়াই করছে। বাখমুতের দুর্গ দখলের প্রচেষ্টায় মারাত্মক ক্ষতি সহ্য করার পরও আক্রমণের আদেশ দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে তারা।
এর মধ্যে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলে ইউক্রেনীয় আজভ রেজিমেন্টের একটি কমান্ড সেন্টারে আঘাত করেছে। যদিও হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়। রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাখমুতের কাছে ফ্রন্ট লাইন ভেঙে পড়ার শঙ্কা নিয়ে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, আমরা এর কারণ বের করার চেষ্টা করছি। এটি সাধারণ ঘটনা, নাকি বিশ্বাসঘাতকতা।
ভিডিওতে ওয়াগনার প্রধান রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান এবং শীর্ষ জেনারেলদের সমালোচনা করেন। গত মাসে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তার লোকদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার দায়ে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ করেন।
৪ মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, সেনারা অনেক উদ্বিগ্ন। কারণ, এই যুদ্ধে তারা হেরে গেলে সম্ভাব্য বলির পাঁঠা বানাতে চায় মস্কো।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগে ছোট্ট এই শহরটি লবণ খনির শিল্পের জন্য পরিচিত ছিল। ৭০ হাজার বাসিন্দার ছিমছাম শহরটি নাম বাখমুতোভকা নদী থেকে নেওয়া হয়েছে। এখনকার শহরটি যেনও আগের সেই বাখমুতের খোলস। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেনস্কা প্রাভদার তথ্য অনুসার, বাখমুতের ৯০ শতাংশ মানুষ পালিয়েছেন।
বাখমুত কেন গুরুত্বপূর্ণ: পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের জন্য রসদপত্র সরবরাহের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পথের ওপর বাখমুত ও সোলেদার শহরের অবস্থান। এর নিয়ন্ত্রণ দখল করতে পারলে রাশিয়া জায়গাটিকে ক্রামাটরস্ক ও স্লোভিয়ানস্কের মত দুটি বড় শহরের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য একটা ভিত্তি তৈরি করতে পারবে। সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply