অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রূপ নিতে যাওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা করতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি জরুরি সভা করে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে আশ্রয় দিতে জেলার ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে দুই লাখের বেশি মানুষ। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে শুকনা খাবার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সঞ্চালনা করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ খোন্দকার রিজাউল করিম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত অর্থাৎ ২৫ তারিখ ভোরে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর আশঙ্কা করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা পেয়েছি- সেই হিসেবে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। এই আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা দুই আট হাজার ৪৩০ জন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে মানুষদের নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা পেলে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও, জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় জনগণকে সচেতন করবে এবং তারা দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেবে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও প্রায় ৩০০ মেট্রিক চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় শুকনা খাবার বরাদ্ধ দিচ্ছে। এই বরাদ্দ স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। সবাইকে শুকনা খাবার- চিড়া, মুড়ি ও গুড় মজুদ করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সব প্রস্তুতি গ্রহণ করবে প্রশাসন।
Leave a Reply