এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঘূর্ণিঝড় রেমেলের আঘাতের ক্ষত চিহ্ন ঝিনাইদহের কৃষকের ক্ষেতে ভেসে উঠতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দিনে দিনে টের পাচ্ছে ক্ষতির ভয়াবহতা। অনেকে তাৎক্ষনিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঝড়ে লন্ড-ভন্ড হয়েছে ক্ষেত- খামার, ফসল, গাছ-পালা, বাড়ি-ঘর। সেই ক্ষতির সম্ভাব্য পরিমাপ হিসাব করা গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে যারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের হিসাব কেউ রাখছে না। নেই কোন জরিপও। কৃষি বিভাগের কাছেও নেই কোন পরিসংখ্যান।
সেই দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের গান্না গ্রামের এক জন কৃষক খাজা মঈন উদ্দিন। তিনি অনেক আশা নিয়ে পঞ্চাশ শতক জমিতে পেপে চাষ করেন। কিন্তু সর্বনাশা রেমেলের আঘাতে তারা সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মঈন উদ্দিন জানান, তিনি অনেক দায়-দেনা করে এমনকি জমি বন্ধক রেখে প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০ শতক জমিতে সাত শত পেপের চারা রোপন করেন। কিন্ত গত ২৭ মে ঘূর্ণি ঝড় রেমেলের আঘাতে পেঁপে গাছের গোঁড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান এখন তার পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই। পরিবারের দশ জন সদস্যের ভরণ-পোশন, লেখা-পড়া,ঔষধ কেনা সহ অন্যান্য খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তিনি কৃষি বিভাগ সহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজের অসহায়ত্বে কথা তুলে তার পাশে দাড়ানোর আবেদন জানান।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আজগর আলীর কাছে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূরনবী জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা অবগত আছি, অনেকে প্রনোদনার জন্য আবেদন করেছেন এ ক্ষেত্রে কৃষককে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতার কোন সুযোগ নেই। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য প্রদর্শনী প্লট কিংবা সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
Leave a Reply