অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আটজন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে বারইয়ারহাট পৌরসদরে ঘটে এই ঘটনা।
আহতরা হলেন বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন টিটু, যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন মিয়াজি, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন সোহান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য পারভেজ, যুবদল নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু, পথচারী মনোয়ারা বেগম। এরমধ্যে ইকবালের অবস্থা গুরুতর। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম মামুন, জসিম উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বারইয়াহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি বলেন, মাঈন উদ্দিন লিটন গ্রুপের জিয়া উদ্দিন বাবলু বিএনপির নামে বারইয়ারহাটের একটি ভাঙারি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন। ওই দোকানের মালিক আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাকে সর্তক করি। পরে জিয়া উদ্দিন বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০-৪০ জন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় এক পথচারী নারী, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাতজন আহত হন। এদের মধ্যে আমার ভাই ইকবাল হোসেনকে গুরুত্বর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করবো।
অপরপক্ষের বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন কমিশনার বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বারইয়ারহাট বাজারে দিদারুল আলম মিয়াজির চাঁদাবাজি রুখে দিতে বিক্ষোভ মিছিল করি। এরপর মঙ্গলবার রাতে দিদারুল আলম মিয়াজির নেতৃত্বে মাঈন উদ্দিন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম মামুন, নিজাম উদ্দিন কমিশনার ও আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন বলেন, দিদার মিয়াজী মেয়র হতে চান। এজন্য প্রভাব বিস্তার করছেন। আমার কোনো কর্মী চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক তারিমুজ্জামান বলেন, হামলার খবর শুনে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply