07 Mar 2025, 06:52 am

চট্টগ্রামের সংবাদগুচ্ছ ; কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১ মার্চ) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন আলম নামের এক স্থানীয় সংবাদকর্মী। তিনি জানান, তাকে থানায় আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে।

ওই সংবাদকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশকে ফোনকলের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এছাড়া সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শুক্রবার আপনারা একটি সংবাদ দেখেছেন, যেখানে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির সময় এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি। তারপরও কিছু মিডিয়া সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এতে ওই নারী সমাজে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আপনাদের কিছু সংবাদে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। আপনাদের অনুরোধ করছি, সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন। আমি নিজেও একসময় সাংবাদিকতা করেছি। আমি একসময় মর্নিং নিউজে ছিলাম।’

 

চট্টগ্রামে আমদানীকৃত ফলের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধিতে দিতেহারা সাধারণ ক্রেতারা

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম : পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে আমদানীকৃত ফলের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ এখন আর ফলে কিনে খেতে পারছেনা। শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরা এখন এ ফল কিনছে। ফলে মধ্যবিত্ব ও নিম্নবিত্তের ফল খাওয়া দুরূহ হয়ে গেছে আরও ৫-৬ বছর আগে। এতে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তলানিতে ঠেকেছে ফল বেচাকেনা।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের পাইকারি আড়ৎ রেয়াজ উদ্দিন বাজারের ফলমন্ডি ও খুচরা বাজার বহদ্দারহাট, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, পাহাড়তলি ফলের বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামে ফলের বাজারে এখন তেমন কোনো বিদেশি ফল নেই। চায়না থেকে আনা কিছু ফল আর দেশি ফলেই চলছে এই ব্যবসা। তবে দেশি ফল বিদেশি ফলের মতো সুমিষ্ট ও মানসম্মত না হওয়ায় ক্রেতাও নেই। তাছাড়া বিদেশি ফলের সংকটে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে দেশি ফলের দাম। এতে মধ্যবিত্ত যারা আগে ফলের ক্রেতা ছিলেন তারা আর ফল কিনতে আসেন না। কতিপয় উচ্চবিত্ত শ্রেণির কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে ফল কিনছেন।

ফল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ফলের ব্যবসায় ধস নামে করোনা সংক্রমণের সময় থেকে। এ সময় ডলার সংকটে এলসি (ঋণপত্র) খোলার জটিলতায় ফল আমদানি নিরুৎসাহ করেন তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী। এরপর থেকে ফলের বাজার অস্থির হতে শুরু করে। এই সময় মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশি ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এ অবস্থায় ওই সময় রমজানে খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফলও পায়নি ক্রেতারা। তখন থেকে দেশি ফল বিক্রি করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এরপর শুরু হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এতে ডলার সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠে। তখন সব ভোগ্যপণ্যের মতো ফল আমদানিতেও প্রভাব পড়ে। অর্থপাচার, অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সংকট আর কাটেনি।

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের ফল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারে এখন চায়না থেকে আমদানি করা কমলা, কেনু, আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি এবং দেশের পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত আপেল, মাল্টা, আঙুর, কমলা, আনারস, কলা, পেয়ারা ছাড়া আর কোনো ফল নেই।

তিনি বলেন, বাজারে দেশের পাহাড়ে উৎপাদিত আপেল কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, মাল্টা ৩২০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ৪২০ টাকায়। আঙ্গুর ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০০ টাকায়। পেয়ারাও কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এছাড়া চায়না কমলা ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়, কেনু ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকা, নাশপাতি ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০০ টাকা, আনার প্রতিকেজি ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, কলা ডজন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। এভাবে ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও ফল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।

ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের ফলমন্ডির পাইকারি ফলের ব্যবসায়ীরাও। পাইকারি ফল ব্যবসায়ী তসকির আহমেদ বলেন, রমজানকে সামনে রেখে চীন থেকে কিছু ফল আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু ফল খালাসের আগেই এনবিআর থেকে ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করে। ১০ শতাংশ বৃদ্ধির এ ঘোষণার সঙ্গে বাজারের প্রত্যেকটি ফলের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি করা ফল খালাস নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব পড়েছে দেশি ফলের ওপর। যা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা সৈয়দ মুনিরুল হক জানান, বিদেশি ফলের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণায় আমদানিকারকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফলের চালান খালাস করেননি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এতে বাজারে প্রভাব পড়েছে।

তিনি জানান, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে রমজান পর্যন্ত দেশে বিদেশি ফলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে বাজারে আমদানি করা ফল না থাকায় শুধুমাত্র দেশি ফল দিয়ে বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজারে সব ধরনের ফলের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতা না থাকায় মার খাচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি ফলের আড়ৎ ফলমন্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ফল আমদানিকারক তৌহিদুল আলম বলেন, এর আগে আমদানিকারক ও ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন। আমদানি ফলের চালান খালাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে এনবিআর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বর্ধিত শুল্ক বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তাই ব্যবসায়ীরা আন্দোলন শিথিল করেছেন। কিন্তু বাজারে তো ফল ব্যবসা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফল আমদানির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে শুল্ককর কমাতে হবে।

 

চট্টগ্রামের দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নুরু অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম :  চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ৩১টি মামলার আসামি নুরে আলম প্রকাশ নুরুকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আকবরশাহ থানাধীন ১ নম্বর ঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া) মাহমুদা বেগম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘নুরে আলম নুরু চট্টগ্রাম নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম। তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, পাহাড় কাটা, ডাকাতিসহ অস্ত্র আইনে ৩১টি মামলা রয়েছে।’

পুলিশ জানিয়েছে, শুরুতে নুরু ফয়’স লেকের রিসোর্টে একজন কর্মচারী ছিল। পরে ধীরে ধীরে সে পাহাড়ের মাটি কাটা শুরু করে। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনেকেই তাকে ব্যবহার করতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় নুরুর অপরাধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটে।

পাহাড় দখল, পাহাড় কাটা, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ সব রকমের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পরে সে। ২০১৪ সালে দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা দেন আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্টফ রিপোর্টার :  ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ১ হাজার ৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সরকারের দেওয়া বীনামূল্যের রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইয়াসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা।

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৮৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি হারে মুগ বীজ, ১০ কেজি হারে ডিএপি সার ও ৫ কেজি হারে এমওপি সার এবং ২০০ কৃষকের মাঝে ১ কেজি হারে তিল বীজ, ১০ কেজি হারে ডিএপি সার ও ৫ কেজি হারে এমওপি সার বিতরণ করা হয়।

সরকারের দেওয়া উল্লেখিত বীনামূল্যের রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইমাম হোসেন জ্যোতি, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার বাহাউল ইসলাম ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ ফজলুল কবীর ।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ হাজার ৫০ কৃষকের মাঝে বীনামূল্যের সার ও বীজ বিতরণ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

আজ সকাল এগারোটায় বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ।

এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শপথ নেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

এ সময় প্রেস সচিব বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।

উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক আবরারকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের জন্য সম্ভাবনার বিষয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। পোষাক তৈরির কাজের অর্ডার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখবে।

ক্রেতারা আস্থা ফিরে পাওয়ার প্রেক্ষিতে এবং দেশে তাদের সোর্সিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের সাথে সাথে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ইইউ পোশাক আমদানি (জানুয়ারী-ডিসেম্বর ২০২৪) ১.৫৩% বৃদ্ধি ($৯২.৫৬ বিলিয়ন) পেয়েছে। মোট আমদানির পরিমাণ ৮.৯৮% বৃদ্ধির ফলে গড় ইউনিট মূল্য ৬.৮৩% হ্রাস পেয়েছে।

এই নিম্নগামী মূল্য বাংলাদেশ সহ প্রধান সোর্সিং দেশগুলিকে উল্লেখ যোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।

বিগত ক্যালেন্ডার বছরের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯.৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে ছিল ১৮.৮৫ বিলিয়ন ডলার।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৪ সালে ৪.৮৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানির পরিমাণ ১০.১৮% বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে উলে¬খযোগ্য পুনরুদ্ধারের প্রবণতা লক্ষ্যণীয়।

তবে, ইউনিট মূল্যে ৪.৮৪% হ্রাস পেলেও পতনশীল মূল্যের কারণে লাভ বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

মূল্য সংযোজন পোশাকের উৎপাদন, শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা মান মেনে চলা এবং উৎপাদনকারী ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সহ রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। এতে ক্রেতাদের আস্থা জোরদার হয়েছে, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হয়েছে এবং রপ্তানি বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

সারা বছর ধরে ওঠানামা সত্ত্বেও, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে ধীরগতিতে শুরু হওয়ার পর, বাংলাদেশ গত অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে উল্লেখযোগ্যভাবে বছর-ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

রপ্তানি বৃদ্ধি ও এই ইতিবাচক প্রবণতা বর্তমান প্রবৃদ্ধির গতিপথকে আরও শক্তিশালী করেছে। লক্ষ্যণীয় যে, ২০২৪ সালে ২০২৩ সালের তুলনায় উন্নতি দেখা গেলেও, ২০২২ সালে অর্জিত স্তরের তুলনায় আয় এখনও কম।

বাংলাদেশের তুলনায়, চীন ২০২৪ সালে ২.৬১% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যেখানে পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে ১২.৪১% ও ২০.৭৩% উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে ইইউতে চীনের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬.০৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে ছিল ২৫.৪০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, তুরস্ক থেকে ইইউতে পোশাক আমদানি ৬.৬৪% হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২৪ সালে ১০.০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ভিয়েতনাম ৪.২১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রপ্তানিতে ৪.৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া ২০২৪ সালে ইইউ পোশাক বাজার থেকে ৩.৭৯ বিলিয়ন ডলার এবং ৪.২২ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে, ইইউ ভারত থেকে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২৩ সালের আয়ের তুলনায় ১.৯৭% বেশি।

প্রাক্তন পরিচালক, ব্র্যান্ড বিজিএমইএ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, এএমডি, ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, ‘অন্যদিকে, বাংলাদেশ রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। তাই, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পরিবর্তন জরুরি।’

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতির মুখে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং মুনাফা মার্জিন রক্ষা করার জন্য মূল্য সংযোজন ও বাজার বৈচিত্র্য আনয়ন অপরিহার্য।

বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের সম্ভাবনার বিষয়ে আশার সঞ্চার 

   অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ সম্ভাব্য সৌর বিভ্রাটের কারণে ৭ মার্চ থেকে সাত দিন সম্প্রচারে সাময়িক বাধার সম্মুখীন হতে পারে।

এই বিভ্রাট, সৌর উপগ্রহ হস্তক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, যখন সূর্য সরাসরি স্যাটেলাইট সংকেত প্রেরণের পেছনে চলে যায় তখন এই বিভ্রাট ঘটে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড বিভ্রাটের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে আজ এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

৭ মার্চ একটি আট মিনিটের ব্যাঘাত সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে শুরু হতে পারে, এরপর ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ১০ মিনিট, ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে ১২ মিনিটের ব্যাঘাত, ১০ এবং ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ১২ মিনিট, ১২ মার্চ ৯ টা ৫০ মিনিটে এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালিত টেলিভিশনের শ্রোতারা টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস রিসিভারের পাশাপাশি সম্প্রচারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

সৌর বিভ্রাটের কারণে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের সম্প্রচার ব্যাহত হতে পারে ৭ মার্চ থেকে সাত দিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   এ বছর লালন স্মরণোৎসবে লালনের মাজার ও এর আশেপাশের এলাকায় গাঁজা ও মাদক সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।

আজ বুধবার ‘লালন স্মরণোৎসব ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘এবারের লালন স্মরণোৎসবে লালনের মাজার ও এর আশেপাশের এলাকায় গাঁজা ও মাদক সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে যদি কোনো ব্যক্তি সেখানে মাদক সেবন বা বিক্রি করে তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাউল ফিরোজ সাঁই, রাজ্জাক সাঁই, শফি সাঁই, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, নাগরিক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন মামুন প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. আব্দুল ওয়াদুদ, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, লালন একাডেমির উদ্যোগে প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব উদযাপন করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকে আলোচনা সভা,  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা। তবে এবার পবিত্র রমজান মাসের কারণে তিন দিনের পরিবর্তে অনুষ্ঠান হবে মাত্র একদিন। একই কারণে এবার আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলাও থাকছে না।

লালন একাডেমির পক্ষ থেকে তিনবেলা খাবার দেয়ার রেওয়াজ থাকলেও রমজান মাসের কারণে বাউল ভক্ত ফকিরদের ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতার এবং রাতে  সেহরি খাওয়ানো হবে। পরের দিন ১৪ মার্চ দুপুরে খেলাফতধারী বাউল ফকিরদের নিজস্ব উদ্যোগে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হবে।

প্রসঙ্গত, বাউল সম্রাট লালন ফকির তাঁর জীবদ্দশায় প্রতিবছর ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দোল পূর্ণিমা তিথিতে উৎসব করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় লালনের ভক্ত, অনুসারী ও বাউলরা অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন। একই সাথে প্রতিবছর অক্টোবর মাসে তিন দিনব্যাপী লালন তিরোধান দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।

 

লালন উৎসবে গাঁজা ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকার নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিরকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সোনাডাংগা ভাগুলীর নাসিরউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন মুসা (২৯), একই উপজেলার পূর্ব বাস্তার ছবর উদ্দিনের ছেলেন হাবিবুর রহমান (৩২), চরখালীয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), খাইলাটর গ্রামের মো. তমেজের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), চক চান্দুর এলাকার তোতা ঢালীর ছেলে মো. রবিউল ঢালী (২৭), হাকিম ঢালীর ছেলে মো. তোতা ঢালী (৬২), ফরিদপুরের টেপাখোলা এলাকার আবুল কাজীর ছেলে কামরুল কাজী (২৮), ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নবীনগরের বারাইল গ্রামের ইদনের ছেলে মো. মোমিন (৩২), চাঁনপুরের নাসির মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৫) ও  নবাবগঞ্জের হাসনাবাদের আবতাজউদ্দিনের ছেলে  সুজন ব্যাপারী (৩৫)।

দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান, সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পারেন আন্তঃ জেলার একদল ডাকাত চক্রের সদস্য ডাকাতি করার জন্য দোহার-নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় ডাকাতি করার জন্য ঘুরাফেরা করতেছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশের একটি চৌকস টিম নবাবগঞ্জে চৌরঙ্গী মোড়ে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় চেকপোস্ট করাকালে একটি হলুদ নীল রংয়ের ট্রাকে সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থেকে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে।

এসময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় প্রথমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, ১টি ত্রিপল, ভল্ট কাটার, চাপাতি, প্লাষ্টিকের পাইপ, শাবল, কাঁচি, বাধাঁর রশি, ৩টি খাসি ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাবাদ আসামীরা জানিয়েছে তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা, মানিকগঞ্জ জেলা, ফরিদপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে।

দোহার সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ১০ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   ঝিনাইদহের শৈলকূপায় টিসিবির ১০০ প্যাকেট পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জুলিয়াস আহমেদ নামে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) উপজেলার ৫ নম্বর কাঁচেরকোল ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টিসিবির পণ্য বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার। এসময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াস আহমেদ লোকজন নিয়ে ১০০টি কার্ডের টিসিবির পণ্য নিয়ে যান। ডিলারের লোকজন বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ভয়ভীতি দেখান।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মো. শরীফ উদ্দীন জানান, সকালে টিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার পণ্য বিক্রির জন্য যান। এসময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াসের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক কার্ড ছাড়াই১০০ প্যাকেটি নিয়ে যান। পরে ইউএনও স্নিগ্ধা দাসকে ঘটনাটি অবহিত করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।

ডিলার মেসার্স ছাবির এন্টারপ্রাইজের কর্মরত ব্যক্তি জানায়, হুট করে জুলিয়াসের লোকজন ১০০ প্যাকেট পণ্য নিয়ে যান। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও প্রশাসনকে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপরে জুলিয়াস ১০০টি পণ্যের দাম পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখনো টাকা পায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা জুলিয়াস বলেন, ঘটনাস্থলে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। আপনারা ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করুন। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। কে বা কারা টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে আমি কিছুই জানি না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এরকম অভিযোগ তুলেছে।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জুলিয়াস মালগুলো ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত ফেরত দিয়েছেন কিনা জানি না। ব্যক্তির কোনো ভুলের দায় দল নেবে না।

বিষয়টি নিয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিগ্ধা দাস বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় টিসিবির ১০০ প্যাকেট পণ্য ছিনিয়ে নিলেন যুবদল নেতা

ডোনাল্ড ট্রাম্পনরেন্দ্র মোদী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের ক্ষেত্রেও চালু হবে পারস্পরিক শুল্ক নীতি। আজ বুধবার ভারতীয় সময় সকালে মার্কিন কংগ্রেসের ভাষণে ট্রাম্প একথা বলেন।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রাজেশ আগরওয়ালকে তড়িঘড়ি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন নরম করানোর জন্য এবং বোঝানোর জন্য যে ভারত যখন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী। ফলে একতরফাভাবে পারস্পরিক শুল্কনীতি রূপায়নের আওতা থেকে ভারতকে বাইরে রাখা হোক। কিন্তু গোয়েলকে সেই সুযোগ দিল না ট্রাম্প প্রশাসন।

শুল্ক প্রসঙ্গে অন্য কয়েকটি দেশের নামের পাশাপাশি ট্রাম্প ভারতের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের কোনো কোনো পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপায়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ন্যায্য নয়।’

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ভারতের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ট্রাম্প সোচ্চার ছিলেন। একসময় ভারতকে তিনি ‘ট্যারিফ কিং’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়েও ট্রাম্প শুল্কনীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করেছিলেন। মোদিকে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি অবশ্যই চান, কিন্তু তা কখনো শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে নয়।

আজ বুধবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতকেও পারস্পরিক শুল্কনীতির আওতায় আনার কথা তিনি জানিয়ে দিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্প বলেন, বহুদিন ধরে বিভিন্ন দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক চাপিয়ে এসেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো, কানাডাসহ অন্য দেশ যত শুল্ক আরোপ করবে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের রপ্তানির ওপর ঠিক ততটাই শুল্ক আরোপ করবে।

ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বলেন, এই পারস্পরিক শুল্কনীতি ২ এপ্রিল থেকে চালু হবে। এটাই ট্রাম্পের ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি, যা তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই বলে আসছেন।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। পীযূষ গোয়ালের দূতিয়ালি নিয়েও দিল্লি এখনো নীরব রয়েছে।

আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকর

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শুক্রবার, ৭ই মার্চ, ২০২৫ ইং
  • ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
  • ৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ৬:৫২

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31      
     12
       
15161718192021
293031    
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018