বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসন থেকে ১২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৯৭ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত রক্ষা পেয়েছে মাত্র ২৮ প্রার্থীর। চট্টগ্রামে ১২টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ, তিনটি আসনে স্বতন্ত্র এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনও প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। সেই হিসাবে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৭ জন প্রার্থীর জামানত হারালেন।
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন– জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আবদুল মন্নান (চেয়ার) ২০৫ ভোট, বিএনএফের মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) ১৯৯ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাত পাখা) ৪৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৭ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন– ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম (চেয়ার) ৫২৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (মোমবাতি) ১৫৩৮, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিউল আজম চৌধুরী (লাঙ্গল) ২৫১, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান (ঈগল) ২২৬১, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি) ৩১১, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা) ৩১৫১, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলেরমালা) ২৩১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৬ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন– জাতীয় পার্টির এম এ ছালাম (লাঙ্গল) ১৩৫, জাসদ এর নূরুল আক্তার (মশাল) ৫৬৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট্রের মুহাম্মদ উল্লাহ খাঁন (মোমবাতি) ২২২, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (একতারা) ৭০, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মোহাম্মদ মোকতাদের আজাদ খান (আম) ১৫০ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মো. আব্দুর রহীম (চেয়ার) ১১৭ পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জনই। তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী সোনালী (আঁশ) ৬৭১, বিএনএফ’র মোহাম্মদ আকতার হোসেন (টেলিভিশন) ২৩৪, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরান (ঈগল) ৪৫০০, জাতীয় পার্টির মো. দিদারুল কবির (লাঙ্গল) ৪৮৮০, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোজাম্মেল হোসেন (চেয়ার) ১৭২৩ ও বাংলাদেশ কনগ্রেসের মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (ডাব) ৩৪৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৬ জন জামানত হারিয়েছে। বিএনএফের আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দীন (টেলিভিশন) ৬৫, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী (একতারা) ৮৭২, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ (চেয়ার) ৬৯১, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দীন (সোনালী আঁশ) ১৪০১, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (ঈগল) ৪৮০ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর সৈয়দ মোখতার আহমেদ (মোমবাতি) ৬৮৩১ পেয়ে জমানত হারান।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৪ জনই জামানত হারিয়েছেন। জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সফিক উল আলম চৌধুরী (লাঙ্গল) ২৬৫৪, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ১১৪৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম (ট্রাক) ৩১৫৯ এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের স. ম. জাফর উল্লাহ (চেয়ার) ১৯৩৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে ৬ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন– ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা (চেয়ার) ১৩৯০, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১৩৩১, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২৩০৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট্রের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) ৯৩০১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. খোরশেদ আলম (একতারা) ১১৩০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ১০ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৮ জনই জামানত হারিয়েছেন। বিএনএফের এস. এম. আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন) ১৫৯, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ (হাতঘড়ি) ১০৬, বাংলাদেশ কনগ্রেসের মোহাম্মদ মহিবুর রহমান বুলবুল (ডাব) ৭০, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আব্দুন নবী (মোমবাতি) ৫৯১৩, এনপিপির মো. কামাল পাশা (আম) ১২৭, জাতীয় পার্টির মো. সোলায়মান আলম শেঠ (লাঙ্গল) ৮২৩৫, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা (সোনালী আঁশ) ২৩৭ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন (চেয়ার) ১০০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ৭ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৬ জনই জামানত হারিয়েছেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম (মোমবাতি) ১৫৩২, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) ৯২৮, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) ১৯১৪, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নুরুল হুসাইন (হাতঘড়ি) ৫৩৭, জাতীয় পার্টির সানজীদ রশীদ চৌধুরী (লাঙ্গল) ১৯৮২ ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার (সোনালী আঁশ) ৬৭২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে ১০ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৮ জন জামানত হারিয়েছেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (চেয়ার) ৫৬৫, জাতীয় পার্টির জহরুল ইসলাম রেজা (লাঙ্গল) ৪২৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ (কেটলি) ২০৩৮, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান (একতারা) ২৯৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (মোমবাতি) ২০৮, জাসদ এর মো. আনিছুর রহমান (মশাল) ১৫৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওসমান গনি (ঈগল) ১৫৫ ও তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির (সোনালী আঁশ) ৩৪৭ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৭ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন– ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (চেয়ার) ২১৫১, গণফোরামের উজ্জল ভৌমিক (উদীয়মান সূর্য) ১৪৫, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ) ১৬০, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত (আম) ৭৬ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. মহি উদ্দিন (একতারা) ৩০০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ৯ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৭ জন জামানত হারিয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি) ৮২৯৮, বিএনএম এর এম এয়াকুব আলী (নোঙ্গর) ১০৪৬, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন (চেয়ার) ৩৬৫, বাংলাদেশ কনগ্রেসের ছৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী (ডাব) ১৩৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া (ট্রাক) ৭৪, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা সরকার (লাঙ্গল) ৩৭৮৭ ও তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ১১৩ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ৭ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জনই। জাতীয় পার্টির এম আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল) ৩৩০৬, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ৮৩৭, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ আরিফ মঈন উদ্দীন (একতারা) ৬১৩, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট্রের মো. আবুল হোসেন (মোমবাতি) ৫১৪১, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক (বটগাছ) ৬১৫ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার) ১৬৬৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাই) আসনে ৮ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৬ জনই জামানত হারিয়েছে। তারা হলেন– জাতীয় পার্টির আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (লাঙ্গল) ১৬২, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (চেয়ার) ১২১, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী (ফুলের মালা) ৯৪, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আয়ুব (একতারা) ১৯৬, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মো. গোলাম ইসহাক খান (টেলিভিশন) ৬১৩ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি) ৫২৩১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৭ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলী হোসাইন (মোমবাতি) ৩৬২, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী (হাতঘড়ি) ১৫০, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম (লাঙ্গল) ৩৮০, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ হারুন (মিনার) ২৯৪ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মো. জসিম উদ্দিন (ছড়ি) ৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ৯ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৭ জনই জামানত হারিয়েছেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আব্দুল মালেক (চেয়ার) ৫০৩, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর) ৩১১, বাংলাদেশ কনগ্রেসের এম জিল্লুল করিম শরীফ (ডাব) ৮৪, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী (আম) ১০৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি) ১১২৫, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ) ২৯৩ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শফকত হোসাইন চাটগামী (মিনার) ১১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।
Leave a Reply