বশির আল–মামুন চট্টগ্রাম : নিলামে প্রয়োজনীয় দাম না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি বিলাসবহুল গাড়ি মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ল্যান্ডক্রুজার। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ এ দুটি গাড়িসহ অন্যান্য পণ্যের নিলাম সম্পন্ন করে। তবে নিলামে প্রয়োজনীয় দরদাতা না থাকায় গাড়ি দুটি অবিক্রীত রয়ে গেছে। এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, নিলামে তোলা দুটি বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে একটি ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং অপরটি ল্যান্ডক্রুজার। এর মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি ঢাকার গুলশান এলাকার জে সি ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা। নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গাড়িটি খালাস নেওয়া হয়নি। এ গাড়ির ভিত্তিমূল্য ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল কাস্টমস। কেনার আগ্রহ দেখিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ছিল ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। এ দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম যমুনা শিপ ব্রেকার্স। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় গাড়িটি কিনতে চেয়েছিল মাসুম এন্টারপ্রাইজ নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান।
২০২২ সালে কালো রঙের মার্সিডিজ বেঞ্জ মডেলের গাড়িটি আমদানি করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে আমদানিকারক ছাড় না নেওয়ার কারণে এটি আটকে যায়।
অপরদিকে, ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটি আমদানি হয় সংসদ সদস্য কোটায়। একাদশ সংসদের কুমিল্লা-৭ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আলী আশরাফের নামে এমপি কোটায় আমদানি করা হয় সাদা রঙের ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটি। কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক এ সাংসদ ২০১১ সালের ৩০ জুলাই মারা যান। গাড়িটি ছাড় না নেওয়ার কারণে বিক্রির জন্য তোলা হয় নিলামে। এটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গাড়িটি কেনার জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা দিয়েছিল। তবে এ গাড়িটির সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। হ্যারি ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দিয়েছিল। সর্বনিম্ন ৭৫ লাখ টাকা দর হেঁকেছিল এস এস ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, ‘দুটি গাড়িসহ বেশ কিছু নিলাম প্রক্রিয়া গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় গাড়ি দুটি নিলামে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। নিলাম অনুযায়ী ভিত্তিমূল্যের ৬০ শতাংশ দাম উঠতে হয়। কিন্তু যে দাম উঠেছে তাতে ভিত্তিমূল্য কাভার না করায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।’
Leave a Reply