অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনের হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা বাজেট আনতে যাচ্ছে তাইওয়ান। বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ ঘোষণা দেন সেখানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে।
চীন দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে এবং গত পাঁচ বছর ধরে রাজনৈতিক ও সামরিক চাপের মধ্যে রেখেছে। তবে এসব দাবি জোরালোভাবেই প্রত্যাখ্যান করে তাইপে।
যুক্তরাষ্ট্রও তাইওয়ানকে নিজের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে—যেমনটি ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিও করছে ওয়াশিংটন।
তাই প্রেসিডেন্ট লাই গত আগস্টে ঘোষণা করেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার আশা করছেন তিনি।
১.২৫ ট্রিলিয়ন তাইওয়ানি ডলারের (প্রায় ৩৯.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) নতুন এই প্যাকেজ উন্মোচন করতে গিয়ে লাই বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করেছে—আগ্রাসনের মুখে আপস করতে গেলে শেষমেশ দাসত্ব ছাড়া কিছুই মেলে না।
তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আপসের কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েলিংটন কু জানান, ২০২৬ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চলবে এই বাজেট কার্যক্রম। এতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ নতুন “টি-ডোম” আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।