অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রাহেলা খাতুন (৭৬) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহেলা খাতুন একই গ্রামের মৃত হুর আলীর স্ত্রী। খবর পেয়ে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের ছোট জামাতা ময়নাল হোসেন জানান, আমার শ্যালক সেলিম হোসেন, তার স্ত্রী রিনা খাতুন ও তাদের ছেলে সম্রাট হোসেন প্রায়ই আমার শাশুড়িকে নির্যাতন করত। এক মাস আগে অসুস্থ হন আমার শাশুড়ি। পরে তাকে আমাদের বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে নিয়ে আসি। ১৫ দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর আবারও নির্যাতন শুরু করে তারা। গত তিন দিন থেকে আমার তাকে কিছুই খেতে দেয়নি তারা। গত রাত ২টার দিকে আমার শাশুড়ি প্রস্রাব করাতে বাইরে যাওয়ার জন্য তার ছেলে সেলিমকে ডাকে। এতে বিরক্ত হয়ে সেলিম, তার স্ত্রী রিনা ও ছেলে সম্রাট উঠে তাকে কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে। মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এতে রাতেই তার মৃত্যু হয়। তাকে মৃত অবস্থায় বিছানায় শুইয়ে রাখে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। প্রতিবেশীরা সকালে বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের জানায়। নিহতের ছোট মেয়ে সবুরন খাতুন জানান, বৃদ্ধ হওয়ায় বিছানায় প্রস্রাব ও পায়খানা করতেন আমার মা। তার ঘর পরিষ্কার করা নিয়ে প্রায়ই সেলিমের স্ত্রী ঝগড়া করতেন। নিহতের ছেলে সেলিম হোসেন জানান, আমি মাকে মারিনি। আমার স্ত্রী ও ছেলে মেরেছে। আমি মাকে খুব ভালবাসতাম। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ওই ঘটনার পর নিহতের ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply