December 3, 2025, 6:18 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে তারুণ্যের উৎসবে কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও সঞ্চয় প্রনোদনা বিতরণ মাগুরায় টিআরের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রাষ্ট্রপতির ফেসবুক আইডি হ্যাকড ; জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা ; দেওয়া হচ্ছে এসএসএফের নিরাপত্তায় আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে নির্বাচন ও গণভোট : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে খুলনায় আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় একজন আটক নানা আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কারাগারে ইমরান খানকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে : সাক্ষাতের পর বোন উজমা যুদ্ধ বন্ধের ‘অগ্রগতি’র পর ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি
এইমাত্রপাওয়াঃ

ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে ইবির ছাত্রী হল উত্তাল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। খালেদা জিয়া হলের সিট নিয়ে রেষারেষিতে বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পপি খাতুনকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান হাফিজ কর্তৃক এই হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান হাফিজের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে।

আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোনকে আঘাত কেন- জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার: চলবে না, চলবে না’, ‘সনদপত্র বাতিল চাই’, ‘মেয়েদের নিরাপত্তা চাই’, ‘সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন এখনই চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পপির সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খালেদা জিয়া হলের ২০৪ নম্বর রুমে সিট পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দা সায়মা রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে পপির বাকবিতণ্ডা হয়। মূলত সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এসময় সায়মা রহমান নামের মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে সার্বিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করেন।

তারা আরও বলেন, পরে সায়মা রহমানের সিনিয়র হাফিজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পপির গায়ে হাত তুলেছে। আমাদের বন্ধুরা হাফিজকে আটকানোর পরেও সে পপির গায়ে হাত তোলে। আমরা এর বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। এখানে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় জড়িত।

সায়মার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে সায়মা রহমানকে তার হলের সিনিয়ররা মানসিক নির্যাতন করে। ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সায়মা এখনো অসুস্থ। তাকে আবারও রাতে চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পপি খাতুন বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিন জনসম্মুখে আমার গায়ে হাত তুলেছে। এই লজ্জাজনক ঘটনার বিচার চাই। জুনিয়রের বয়ফ্রেন্ড আমাকে মারধর করেছে। প্রশাসন সেই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে আন্দোলন থামবে না। আর এইসব ঘটনার মূলে থাকা জুনিয়রকে এই মূহুর্তে হল থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি আমাদের সকল দাবি মানতে হবে। আমি নিরাপত্তা চাই। বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পপির সাথে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। বহিরাগত এক ছেলের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওই ছেলের সঙ্গে পপি সেখানে উপস্থিত ছিল। আমি পপির গায়ে কোনও প্রকার হাত তুলিনি।

এ সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষদর্শী শাহীন বলেন, ঘটনার সময় আমি হাফিজের সঙ্গে ছিলাম। শেখ পাড়ার জাসেম নামে এক ছেলের সঙ্গে হাফিজের কথা কাটাকাটি হয়। তখন সে হাফিজকে গালি দেয় এবং তাকে মারার হুমকি দেয়। এসময় পপি ওই ছেলের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু হাফিজ পপির গায়ে হাত তোলেনি।

 

এ বিষয়ে সায়মা রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি হল প্রভোস্টের তত্ত্বাবধানে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিক বলেন, এই সব বিষয়ে আমারা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমরা প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়েছি। শুক্রবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমার মেয়ের গায়ে হাত তোলা মানে আমার গায়ে হাত তোলা। এর যথাযথ বিচার করা হবে। মেয়েদের দাবির একাংশ ছিলো জুনিয়র মেয়েকে হল থেকে আজকেই বের করে দেওয়া। আমি তাকে নিয়ে যাচ্ছি। কালকে হল বডিকে নিয়ে প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা হবে। এছাড়াও মেয়েদের বাকী দাবিগুলোও পূরণ করতে প্রসাশনের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এর সাথে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page