16 May 2024, 02:12 am

জলাভূমি রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ : পরিবেশমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা  এবং দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আর কোন জলাভূমি যেন ধ্বংস না হয় ও কেউ যেন তা দখল না করতে পারে- সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী জলাভূমি রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “সময়ের অঙ্গীকার, জলাভূমি পুনরুদ্ধার” প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব জলাভূমি দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ।
এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন।
বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. মোখলেছুর রহমান এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার জলাভূমি সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আরোপে বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, বিধিমালা ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জলাভূমি সংরক্ষণে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে- মন্ত্রী বলেন, হাওড় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ২০১২ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রনয়ণ করা হয়েছে। হাওর ও জলভূমির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জলাভূমিসহ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় দেশের ১৩টি এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  জলাভূমিসমৃদ্ধ বিভিন্ন এলাকাকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিসমূহ সংরক্ষণের জন্য ১৯৯২ সালের ২১ সেপ্টেম্বও এ সংক্রান্ত রামসার কনভেশন কার্যকরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে ২টি রামসার সাইট আছে- একটি সুন্দরবন ও অপরটি টাঙ্গুয়ার হাওর।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া পাখিসহ জীববৈচিত্র্যের সমাহার হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের ৩য় রামসার সাইট ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। জলাভূমির সমাহার রামসার সাইট ও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 2533
  • Total Visits: 731824
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1126

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ ইং
  • ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ৭ই জ্বিলকদ, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ২:১২

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018