অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টাইফুন সানসান শুক্রবার ধীরে ধীরে জাপানের দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে। এতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং পরিবহন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে জাপানে আঘাত হানার অন্যতম শক্তিশালী এই টাইফুন। ভোরের দিকে দুর্বল হয়ে পড়লেও দমকা হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার।
কিউশু দ্বীপে আঘাত হানার আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূরে আইচি প্রিফেকচারে একই পরিবারের তিন নিহত হয়।
কিউশুতে একটি ছোট নৌকায় সর্বশেষ দেখা একজন ব্যক্তি এবং শিকোকু দ্বীপের প্রতিবেশী টোকুশিমা প্রিফেকচারে আংশিকভাবে দোতলা বাড়ি ভেঙে পড়াসহ আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার কিউশুতে টাইফুনের ২৫২ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে অন্তত ৮১ জন আহত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। পাঁচ লাখের বেশি লোককে নিরাপটদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাপান আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, কিউশুর কিছু অংশে আগস্টে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। মিসাতো শহরে ৪৮ ঘণ্টায় ৭৯১.৫ মিলিমিটার (৩১ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কিউশুতে আড়াই লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। কিন্তু ইউটিলিটি অপারেটর শুক্রবার বলেছে, শুধুমাত্র ৬ হাজার ৫শ’ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন ছিল। কারণ, প্রকৌশলীরা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সমিশন লাইনগুলো মেরামত করেছেন।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, গতরাতে কিউশুতে অনেকগুলো মোটরওয়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ ছিল। কিউশুতে শিনকানসেন বুলেট ট্রেনগুলো চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে । টোকিও এবং ওসাকার মধ্যে প্রধান রুটেও ট্রেনগুলোর চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
জাপান এয়ারলাইন্স এবং এএনএ ইতোমধ্যে শুক্রবারের জন্য তাদের ৬শ’ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। আগের দিন একই সংখ্যা বাতিল করায় প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে। অটো জায়ান্ট টয়োটা জাপানে তাদের ১৪টি কারখানায় উৎপাদন স্থগিত রেখেছে।
Leave a Reply