November 3, 2025, 3:35 am
শিরোনামঃ
স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক আসবেন : ধর্ম উপদেষ্টা জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংহতি পুনর্ব্যক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত আপিলের শুনানি পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার : ট্রাইব্যুনালে হাসানুল হক ইনু আবারও ৩ বছরের জন্য জামায়াতের আমির নির্বাচিত হলেন ডা. শফিকুর রহমান জাতীয়করণের দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখের লংমার্চ আটকে দিয়েছে পুলিশ ৯ মাসে হাফেজ হলেন ১১ বছর বয়সী লক্ষীপুরের ইয়াছিন আরাফাত রবি মৌসুমে নাটোরে কৃষি প্রণোদনা প্রদান শুরু রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পদ্মা পাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি
এইমাত্রপাওয়াঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরের মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অর্থ বানিজ্য ; অতিরিক্ত বকেয়া দেখিয়ে ভূমিকর পরিশোধের নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দাড়বাড়িয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের রতন দাস ও মনমত দাসের মির্জাপুর মৌজার ৩৪৬ শতক জমির ১৯ বছরের ভূমি উন্নয়ন কর ৫০ হাজার টাকা বাকি দেখিয়ে বকেয়া পরিশোধের নোটিশ করেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং নোটিশে উল্লেখ করেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোটিশটি পাওয়ার পর রতন দাস ও মনমত দাস ৩-৪ দিন ভূমি অফিসে ঘুরে কিছু টাকা কমিয়ে বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ করেন। অবশেষে ইউনিয় ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ১৯ বছরের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ২৫ হাজার ৪শ ৭২ টাকার রশিদ দিলে বাধে যত বিপত্তি। জানতে চাইলে বলেন বাকি টাকা অফিস খরচ বাবদ কাটা হয়েছে। একই গ্রামের দেবেন দাসের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে ৩ হাজার ৬শ ৯৭ টাকার রশিদ দেওয়া হয়। এমনি ভাবে শিবেন দাস, রঞ্জন দাসসহ ইউনিয়ন ব্যপি বাকির অতিরিক্ত বকেয়া দেখিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের নোটিশ করে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ বানিজ্য করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দিন। তবে শফি উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ভূমি কর আদায়ের সার্থে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল।
মির্জাপুর গ্রামের মনমত দাস, রঞ্জন দাস ও রতন দাস জানান ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা ভূমি কর পরিশোধের জন্য আমাদের নামে নোটিশ আসে। আমরা ৩-৪ দিন ধরে ভূমি অফিসে গিয়ে কিছু কম নেওয়ার অনুরোধ করলে ৩০ হাজার টাকা আমাদের কাছ থেকে নেয়। কিন্তু ২৫হাজার ৪শ ৭২ টাকার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ দিয়েছে। বাকি টাকা অফিস খরচ বাবদ কাটা হয়েছে বলে জানান শফি উদ্দিন।
দেবেন দাস ও শিবেন দাস বলেন ভূমি অফিস থেকে ২০ হাজার টাকা ভূমি কর পরিশোধের জন্য নোটিশ আসে। ১২ হাজার টাকায় তা পরিশোধ করলেও মাত্র ৩ হাজার ৬শ ৯৭ টাকার কর পরিশোধের রশিদ পেয়েছি। আমরা উক্ত বিষয়ের বিচার দাবি করছি।
হুদাশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দীনে ছেলে সবুজ হোসেন জানান, আমার পিতার নামে জমির কর পরিশোধ করার জন্য মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের গেলে ভূমি কর্মকর্তা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। অনেক অনুরোধে ৬ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নেয়। কিন্তু আমাকে ৪ হাজার ৮শ ১৫ টাকার ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ প্রদান করে। আমি জানতে চাইলে তিনি বলেন বাকি টাকা অফিস খরচ।
মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শফি উদ্দীন জানান,কারো কাছ থেকে কোন বেশি টাকা নেওয়া হয়নি। ভূমি কর আদায়ের সার্থে বাকির অতিরিক্ত বকেয়া দেখিয়ে ভূমি কর পরিশোধের নোটিশের মাধ্যমে কর আদায় করেছি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা জানান, যত টাকা বাকি ঠিক তত টাকা পরিশোধের নোটিশ করতে হবে এবং সেটাই আদায় করতে হবে। বিষয়টি খোজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page