স্টাফ রিপোর্টার : সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের মিথ্যা অনুমোতির দোহায় দিয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুরে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। যার ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
মাটি খেকোদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না উর্বর ফসলি জমি, উঁচু ভিটা, কিংবা ক্ষুদ্র জলাশয়। এতে তিন ফসলি কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পুকুর ও ডোবায়। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, বিলিন হয়ে যাচ্ছে চাষ যোগ্য কৃষি জমি ,মাটি পরিবহনে ভারি ট্রাক্টর ব্যবহারেও গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ।
মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটের ভাটায় বিক্রি করে চলেছে। মাটি টানার কাজে তিনি ১১টি ট্রাক্টর ভাড়া করেছেন।
কানাইডাঙ্গা গ্রামের কয়েকজন জানান, মাটি ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম বেশ কয়েক দিন ধরে প্রশাসনের কাছ থেকে ‘অনুমোতি’ নেওয়ার মিথ্যা দোহায় দিয়ে দিনে ও রাতে মাটি কাটার মহোৎসব চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে অপ্রাপ্তদের দিয়ে অবৈধ ট্রাক্টর চালানোর কারণে সড়ক দূঘটনার অতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
মাটি ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম জানান, আমি প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোতি নিয়েই মাটি কাটার কাজ শুরু করেছি। এখন আমি আর কারও ধারধারিনা।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা খাতুন জানান, আমি মাটি কাটার বিষয়ে কাউকে অনুমোতি দেয়নি। যদি কেউ আমার কাছ থেকে অনুমোতি নেওয়ার কথা বলে থাকে তাহলে সে মিথ্যা বলেছে। আমি বিষয়টি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেব।