স্টাফ রিপোর্টার : ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য দুই হাজার টাকা নিয়ে ১০ টাকার দাখিলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নানা অযুহাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পদে পদে ঘুষ-দুর্নীতির কারণে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দবির উদ্দিন যোগদানের পর থেকে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, খারিজ রির্পোট দিতে টাকা , খারাপ আচারণসহ,প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। এমনি অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বলেন, যাদবপুর ইউপির কুলতলা-৫৫ মৌজার ৩৩ শতক জমির খাজনা দিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে নায়েব দবির উদ্দিন বলেন অনেক বছরের খাজনা বাকি রয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার ৬ হাজার টাকা খরচ হবে,অনেক অনুরোধের পর তিনি ২ হাজার টাকা রেখে কয়েকদিন পর এসে দাখিলা নিয়ে যেতে বলেন। বেশ কয়েকদিন পরে দাখিলা আনতে গেলে তিনি দশ টাকা পরিশোধের একটা দাখিলা দেন। জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচারণ করেন এবং অফিস থেকে বের করে দেন।
আরেক ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন বলেন, টাকা দিয়েও সঠিক সময়ে কাজ করেন না নায়েব সাহেব। দিনের পর দিন ঘুরতে হয় অফিসে, কিছু বললেই তিনি খারাপ আচারণ করেণ।
যাদবপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন, এমন কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা বেশি নিয়েছি তা মনে পড়ছে না। আমি অসুস্থ আছি আগামীকাল অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার জানান, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।