স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর শাশুড়ী বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একাটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরণে জানাযায়, স্বামী স্ত্রী দুজনেই বাকপ্রতিবন্ধী ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। পূজার সময় তারা মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে আসেন। প্রতিদিন ভিক্ষা শেষে স্বামী-স্ত্রী যেকোনো স্থানে রাত যাপন করতেন। ঘটনার দিন তারা মহেশপুরের বাথানগাছি মির্জাপুর এলাকায় অবস্থানকালে বাথানগাছি গ্রামের অহিদুলের ছেলে তরিকুল তাদেরকে কিছু খাবার-দাবার কিনে দেয় এবং পরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে সেগুন বাগানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ভিকটিম তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার (১০অক্টোবর) বিকেলে মির্জাপুর বাজারে ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে তরিকুলের দেখা হলে জানতে চাইলে তরিকুল রাগাঙ্গিত হয়ে তাকে মারধর করে। মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষণের স্বীকার বাকপ্রতিবন্ধীর শাশুরী বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় তরিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী বাকপ্রতিবন্ধীর শাশুরী বলেন, আমার ছেলে ও বৌ দুজনেই বাকপ্রতিবন্ধী। ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। আমার বৌমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এবং ছেলেকে মারধর করেছে আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, একটি নিয়মিত মামলা রজু হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রেরণসহ আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।