স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর জামিয়া ইসলামীয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ (হাফেজ) বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহাম্মেদকে (১৩) কে পিটিয়ে আহতের পর তার একটি আঙ্গুলের নক তুলে নিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের মা বাদী হয়ে শিক্ষক আব্দুল্লাহকে আসামী করে একটি লিখিত অভিয়োগ দায়ের করেছেন।
আহত ছাত্র জুবায়ের আহাম্মেদ জানান, রোববার রাতে আমাকে রুমের মধ্যে নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমার বাম হাতের আঙ্গুলের একটি নক তুলে নেয় শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ। এমনকি আমি যদি এঘটনা কাউকে বলি তাহলে আমাকে মেরে ফেলা হবে বলে জানান। আমি আজ সোমবার ভোর রাতে পালিয়ে বাড়ীতে চলে যাই।
আহত ছাত্রের মা ফিরোজা বেগম জানান, আমার ছেলেকে মহেশপুর জামিয়া ইসলামীয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় রেখে লেখা পড়া করিয়ে আসছিলাম। হঠাত কয়েক দিন ধরে হেফজ (হাফেজ) বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আমার ছেলেকে অহেতুক মারপিট করে আসছিল।
তিনি আরো বলেন বোরবার রাতে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আমার ছেলেকে লাঠি দিয়ে যে ভাবে পিটিয়েছে তা বলার মত নয়। কিন্তু তার পরও তিনি আমার ছেলের একটি আঙ্গুলের নক পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন। এটা কেমন শিক্ষাকতা?
আহত ছাত্র জুবায়ের আহাম্মেদের প্রতিবেশী চাচা আবু হানিফ জানান, জুবায়েরকে মারপিটের কারণ জানতে তার মাকে নিয়ে মাদ্রসায় গেলে জামিয়া ইসলামীয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান শেখ আসাদ আমাদেরকে উল্টো হুমকি দিয়ে মাদ্রসা থেকে বের করে দেয়।
হেফজ (হাফেজ) বিভাগের শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহর সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব্য হয়নি।
মহেশপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দীন জানান আমি লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply