এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে আগাম গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিক মুনাফা পেয়ে খুশি কৃষক। প্রথমবারের মতো ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়ানে গ্রীষ্মকালীন টমেটো প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে এই টমেটো চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ বেড়েছে। উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারই প্রথম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে সবজি জাতীয় ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুটি প্রদর্শনীতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করা হয়েছে। উপজেলার হলিধানী ও প্রতাবপুর গ্রামের মাঠে দুটি জমির মোট ১০ শতক ও ৫ শতক জমিতে বারি হাইব্রিড টমেটো-৪ ও ১১ (সামার কিং) জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ ও সুষম সার ব্যবস্থাপনায় এই চাষ করেছেন কৃষকরা।
কৃষক আব্দুল জলিল ও মিজানুর ব্যাপারী জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন তারা। জমি প্রস্তুত, সার, ওষুধ ও পরিচর্যার জন্য অফিস থেকে সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ পেয়েছেন। গ্রীষ্মকালীন উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে বাজারে টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। বর্তমানে এই টমেটো পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে অল্প জমিতে অনেক লাভবান হওয়া যায়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারও কম লাগে, যার কারণে খরচ কম লাভ বেশি।
হলিধানী ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মফিজ উদ্দীন জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে বেশ লাভজনক। কৃষি অফিস কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। এই টমেটো চাষ করে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, যার ফলে আগামীতে এই টমেটো চাষ বৃদ্ধি পাবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী জানান, এ বছরই প্রথমবারের মতো প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করা হয়েছে। এই টমেটো চাষ খুবই লাভজনক। বাজারে এর মূল্যও অনেক বেশি। সারা বছর টমেটোর চাহিদা পূরণ করতে গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৪ ও ১১ জাতের টমেটো চাষ করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
Leave a Reply