এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে সাজেদুল নামে এক ব্যাক্তির পুকুর দখল করে মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেনসহ তার দলবল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মাছ চাষি সাজেদুল ওজুদ কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ বলা হয় কবির হোসেন এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করে। এ কারণে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। সাজেদুল ওজুদ জানান, বাগুটিয়া মৌজায় জনৈক ফিরোজুলের কাছ থেকে ১৪ একর ৩০ শতক ও রোজিনা বেগমের কাছ থেকে ৩ একর জমি লীজ নিয়ে ৫টি পুকুরে তিনি মাছ চাষ করে আসছিলেন। সম্প্রতি বাগুটিয়া গ্রামের তোফোজ্জেল হোসেনের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, কুবাদ আলীর ছেলে মুছা মন্ডল, ডালিমের ছেলে রসুল, রেজাউলের ছেলে রাকিব, জামাল হোসেনের ছেলে সুমন, ইমান আলীর ছেলে রিপন, মোজাহার মোল্লার ছেলে মোফাজ্জেল ও ইমরানের ছেলে আশিকসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুকুর থেকে ১৮ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা পুকুর পাড়ে ২০ একার জমিতে লাগানো দুই লাখ টাকা মুল্যের প্রায় ৫’শ কাঁদি কলা কেটে ফেলে।
মাছ চাষি সাজেদুল ওজুদ জানান, ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলা করতে না পারলেও দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে তিনি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেছেন, যার মামলা নং ঝি/সিআর-৮১৪/২৪। বাদী অভিযোগ করেন মামলার প্রধান আসামী কবির হোসেন নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার ভয়ে এখনো ৪০টি পরিবার ঘরবাড়ি ছাড়া। এছাড়া মামলা করার পর সাক্ষি দরবেশ জোয়ারদারকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কবির বাহিনী এখনো এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
মাছ লুটের বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, তিনি এসব বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। এলাকায় সামাজিক দ্বন্দের কারণে সাজেদুল ওজুদ আমার নামে মামলা করেছেন। প্রকৃত পুকুর থেকে মাছ লুট বা কলাগাছ কাটার সঙ্গে জড়িত নয়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাগুটিয়া গ্রামে মাছ লুটের বিষয়ে আদালত থেকে এখনো কোন নির্দেশনা পায়নি। তিনি জানান, আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply