November 13, 2025, 4:38 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহহের মহেশপুর পৌরসভায় মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে পরামর্শকরণ সভা অনুষ্ঠিত অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ : ড. ইউনূস জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন : বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৪ বিষয়ে হবে গণভোট ; একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে মতামত নির্বাচনে ইসি নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকায় থাকবে : প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজশাহী সেনানিবাসে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোটের সিদ্ধান্তে অনড় জামায়াত ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত
এইমাত্রপাওয়াঃ

ঝিনাইদহে হিরণ চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদকের তল্লাশি

এম কবীর, ঝিনাইদহ : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তল্লাশি চালিয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত অফিসের কর্মকর্তারা চেয়ারম্যানের দুটি বাড়ির মাপজোক করেন। দুদক অফিস থেকে জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দুদকের উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল গত ২৫ অক্টোবর বাদী হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামী শহিদুল ইসলাম হিরণ এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ স্থাবর, গাড়ি ব্যবসায়িক পুঁজি, ইলেক্টিক, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসব সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তি, কৃষি ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার একশ টাকার আয় পাওয়া যায়। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে শহিদুল ইসলাম হিরণের ব্যয় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৩০ টাকা। আয় থেকে তার ব্যয় বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। যার বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ টাকা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া যায়, যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের যশোর অফিসের সহকারি পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল ও দ্বিতীয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে সহকারি পরিচালক মোশাররফ হোসেন দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ জানান, আমার বিরুদ্ধে কোনো জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকতে পারে না। আমি তো ফকির না আমার এক কোটি টাকা থাকতেই পারে।

আমি দুদককে চ্যালেঞ্জ করেছি। তারা আমার বাড়িতে না ঢুকে বাইরে থেকে মেপে চলে গেছে। ওই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে বিষয়টি শুনেছি। তবে ঢাকা দিয়ে এ পর্যন্ত তিনশ সাংবাদিক ও অনেক দুদক অফিসার আমার কাছে ফোন করে উপকার করার কথা বলেছে। আমি বলেছি কাউকে উপকার করতে হবে না। আর যে সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে লেখছে জানুয়ারি মাস পার হোক তাদের (লেখার অযোগ্য ভাষা)। তখন দেখবো তারা কী লেখে। আর আমার দুদকের করা মামলাটি আইনগতভাবে লড়বো।

 

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page