24 Nov 2024, 03:05 pm

ঝিনাইদহে হিরণ চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদকের তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম কবীর, ঝিনাইদহ : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তল্লাশি চালিয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত অফিসের কর্মকর্তারা চেয়ারম্যানের দুটি বাড়ির মাপজোক করেন। দুদক অফিস থেকে জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দুদকের উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল গত ২৫ অক্টোবর বাদী হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামী শহিদুল ইসলাম হিরণ এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ স্থাবর, গাড়ি ব্যবসায়িক পুঁজি, ইলেক্টিক, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসব সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তি, কৃষি ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার একশ টাকার আয় পাওয়া যায়। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে শহিদুল ইসলাম হিরণের ব্যয় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৩০ টাকা। আয় থেকে তার ব্যয় বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। যার বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ টাকা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া যায়, যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের যশোর অফিসের সহকারি পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল ও দ্বিতীয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে সহকারি পরিচালক মোশাররফ হোসেন দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ জানান, আমার বিরুদ্ধে কোনো জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকতে পারে না। আমি তো ফকির না আমার এক কোটি টাকা থাকতেই পারে।

আমি দুদককে চ্যালেঞ্জ করেছি। তারা আমার বাড়িতে না ঢুকে বাইরে থেকে মেপে চলে গেছে। ওই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে বিষয়টি শুনেছি। তবে ঢাকা দিয়ে এ পর্যন্ত তিনশ সাংবাদিক ও অনেক দুদক অফিসার আমার কাছে ফোন করে উপকার করার কথা বলেছে। আমি বলেছি কাউকে উপকার করতে হবে না। আর যে সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে লেখছে জানুয়ারি মাস পার হোক তাদের (লেখার অযোগ্য ভাষা)। তখন দেখবো তারা কী লেখে। আর আমার দুদকের করা মামলাটি আইনগতভাবে লড়বো।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 13593
  • Total Visits: 1292006
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২১শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৩:০৫

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018