জাফিরুল ইসলাম : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই মামলায় ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান খোকার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
১৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার তিনি যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এই আদেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন দুদকের পিপি অ্যাড. আশরাফুল আলম বিপ্লব। মামলার বিবরণে জানা যায়, এস এম আনিছুর রহমান খোকা ১৯৯৩ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ৪০ জনকে মাস্টার রোলে চাকরি দেন। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুমোদন নেননি। এর ফলে পাঁচ বছরে ৪০ জন মাস্টার রোলের কর্মচারীকে সরকারি টাকায় বেতন দিয়ে সরকারের ১৬ লাখ ২০ হাজার ৫৩৯ টাকা ক্ষতি করেন। পরে দুদকের তদন্তে উঠে আসে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এস এম আনিছুর রহমান খোকা ওই নিয়োগ দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় দুদক পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, একই সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দেন তিনি। তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে তিনি সচিবের কাছ থেকে বিভিন্ন চেকে স্বাক্ষর করেন। এছাড়া তিনটি প্রকল্পের কাজের প্রাক্কলিত অর্থের বেশি টাকা ব্যয় করে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেন। এ ঘটনায় দুদক তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়। ওই দুটি মামলায় এস এম আনিছুর রহমান খোকা বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভায় মাস্টার রোল কর্মীচারীদের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভায় নিয়ম ভঙ্গ করে প্রায় ৫১ জনকে মাস্টার রোলে বেতন দেয়া হচ্ছে। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যায় হচ্ছে। অন্যদিকে ঝিনাইদহ পৌরবাসির ঘাড়ে চাপছে তাদের বেতন ভাতা দেয়ার বাবদ বাড়তি ট্যাক্স।
Leave a Reply