অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত শুক্রবার ইরানের এক নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে আব্বাস আরাকচি বলেছেন, এখন নতুন একটি দৃশ্যকল্প গড়ে তোলা হয়েছে… বাস্তবে নেই এমন একজনকে হত্যাকারী হিসেবে, থার্ড ক্লাস কমেডি তৈরি করার জন্য স্ক্রিপ্টরাইটারদের আনা হয়েছে।
ইরান এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন আরাকচি। তিনি দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া আরাকচি বলেন, মার্কিন জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাদের পছন্দমতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অধিকারকে ইরান শ্রদ্ধা করে। সামনে এগোনোর পথটিও একটি পছন্দের বিষয়। এটি শ্রদ্ধা দিয়ে শুরু হয়।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের পেছনে ছুটছে না বলেও জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই নিয়ে আর কোনো কথা নেই। এটি ইসলামের শিক্ষা ও আমাদের নিরাপত্তা হিসাবনিকাশ ভিত্তিক একটি নীতি। উভয়পক্ষ থেকে আস্থা তৈরি করা দরকার। এটি একমুখি পথ না।
এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন বিচার বলেছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ফরহাদ শাকেরি (৫১) নামের ব্যক্তিকে ট্রাম্পকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিল।
মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফরহাদ শাকেরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে যে গত ৭ অক্টোবর ট্রাম্পকে হত্যার জন্য ইরানি কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব দেয়। তবে তিনি দাবি করেছেন যে, আইআরজিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ট্রাম্পকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিবৃতিতে জানানো হয়, শাকেরি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০৮ সালে তাকে ইরানে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
Leave a Reply