তাকওয়া বা মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করা বান্দার সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ। মানব মনে তাকওয়ার বীজ বপন এবং তা পূর্ণরূপে বিকশিত করার জন্যই নবী রাসূলের আগমন ঘটেছে। তাই পবিত্র কোরআনে প্রথম বাক্যেই আল্লাহ্ তা‘আলা সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, “এ গ্রন্থ তাকওয়াবান সম্প্রদায়ের পথপ্রদর্শক।” এছাড়া কোরআনের আয়াতে মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে মুক্তাকী ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা বেশী মর্যাদাশীল।” বস্তুত ইসলামের আসল ও মুখ্য উদ্দেশ্যই মানুষকে মুক্তাকী ও ধর্মপরায়ণ বান্দারূপে গড়ে তোলা, যেন সে দুনিয়ায় করুণাময়ের অনুগ্রহ অর্জন করে আখিরাতে দোযখের আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারে।
১. মহান আল্লাহ্ ্ তা‘আলা বলেছেন, আমার নৈকট্য অন্বেষণকারীদের মধ্যে মুত্তাকী ব্যক্তির সমান নৈকট্য লাভ আর কারও দ্বারা সম্ভব হয়নি। আবুশ শায়খ আলোচ্য হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।
২. মহান আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন, আমার ঈমানদার বান্দা যাবতীয় কল্যাণের উৎসস্থল।” ইমাম আহমদ আলোচ্য হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।
৩. আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, “হে মানুষেরা! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদেরকে বিভিন্ন সম্পদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যেন তোমরা পরষ্পরকে চিনতে পার।” নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুক্তাকীগণ আল্লার্হ কাছে সবচেয়ে মর্যাদাশীল। অতএব কোন আরববাসী কোন অনারবের চেয়ে মর্যাদায় অধিক নহে। কোন অনারব কোন আরবীর ওপর অধিক মর্যাদাশীল নহে, কালোবর্ণের ওপর সাদাবর্ণের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন সাদাবর্ণের ওপরও কালোবর্ণের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব কেবলমাত্র তাকওয়া ও সংযমের জন্য।” হে কুরাইশ সম্প্রদায়! তোমরা এহকালকে তোমাদের কাঁধের ওপর বহন করে এনো না। যেভাবে অন্যান্য সম্প্রদায় পরকালে আনায়ন করবে। কারণ আমি তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে কোন কাজে আসব না। তিবরাণী আলোচ্য হাদীসখানা আদা ইবনে খালিদের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৪. মহান আল্লাহ্ তাঁর কোন এক নবীর ওপর নাযিলকৃত বাণীতে বলেন, “হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে সৃষ্টি করি, আর তুমি অন্যের ইবাদত কর। আমি তোমাকে রিযিক দেই, আর তুমি অন্যের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে আহব্বান করি, আর তুমি আমার নিকট থেকে পলায়ন কর। হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে স্মরণ করি, আর তুমি আমাকে ভুলে থাক। হে আদম সন্তান! আল্লাহকে ভয় কর এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুমাও।” আহমদ ইবনে ফারিস আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবদুল্লাাহ ইবনে উমর (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।