অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিল্লিকে কথিত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “বিজেপি তার সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানী করবে। আগামী মাসের নির্বাচনে যদি বিজেপি জয়ী হয়, তাহলে দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গাদের হাত থেকে মুক্ত করবে।”
গতকাল (রোববার) নরেলা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আম আদমি পার্টিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে তাদের ‘দুঃশাসন’ শেষ করার আহ্বান জানান ৷ পাশাপাশি, তিনি দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিকে ‘অবৈধ আয় পার্টি’ বলেও আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, গত দশ বছরে আম আদমি পার্টি হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। তিনি দাবি করেন, দিল্লিতে এএপি সরকারের প্রতি কার্যক্রমে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
দিল্লি আবগারি নীতি মামলার প্রসঙ্গে অমিত শাহ কটাক্ষ করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে, আর তিনি সেটিকে ক্লিন চিট বলে দাবি করছেন। কিন্তু কেজরিওয়াল জি, জামিন পাওয়া মানেই ক্লিন চিট নয়। আপনাকে পুরো বিচার প্রক্রিয়া মোকাবিলা করতে হবে। আপনি জেল খাটার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নিন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যমুনা নদী পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে পূজার সময় হাজার হাজার পূর্বাঞ্চলীয় মানুষ যমুনায় ডুব দিয়ে তাদের ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেননি।’
অমিত শাহের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে আম আদমি পার্টি (আপ) বলেছে, বিজেপির আসল লক্ষ্য দিল্লির উন্নয়ন নয়, বরং কেবল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করা। দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিজেপির দিল্লির উন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র নেতিবাচক প্রচারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অমিত শাহকে জবাব দিতে হবে—দিল্লির ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে গত দশকে তারা কী করেছে? তাদের একমাত্র কাজ ছিল দিল্লির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং সেই কাজেও তারা ব্যর্থ।’
আম আদমি পার্টি আরও দাবি করে, ‘দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। অথচ শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়েছে। বিজেপি শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই করছে না।’
এই বিবৃতি ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিল্লির রাজনীতি এখন তীব্রভাবে উত্তপ্ত। বিজেপি ও আপ উভয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
Leave a Reply