November 13, 2025, 12:03 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পেনশন স্কিম : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এই পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। আমরা যে অঙ্গীকার করি, সেটা আমরা রাখি। সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। এটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়, পরিণত বয়স হয়, আয়-রোজগারের সামর্থ্য থাকে না, অথবা অসুস্থ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন বা কাজ করতে পারেন না, এই পেনশন স্কিম সেই সময়ের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে থাকবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তি পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে যায়। এমনকি ছেলেমেয়েরাও দেখতে চায় না। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে যান বৃদ্ধরা। অসহায় না হওয়ার যেই লক্ষ্য নিয়ে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা চালু করেছিলাম, আজ আমরা পেনশন স্কিম চালু করে দিলাম। যারা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিতে পারেন না, তাদের জন্যও সুরক্ষা ব্যবস্থা হবে। কারও কাছে হাত পেতে খেতে হবে না।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। আর যারা সরকারি চাকরি করেন, তারা বেতন পান। তাই এটা তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী আছে, শুধু তাদের জন্য এই ব্যবস্থা করেছি। তারা যেন সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে। ফলে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য আছে, এর মাধ্যমে সেটাও দূর হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে অঙ্গীকার করি, সেটা আমরা রাখি। সেটাই আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। সারা দেশের মানুষের জন্য এটা করতে পেরেছি। এটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসি, তখন মানুষের জন্য কী করতে পারি, তা নিয়ে চিন্তা করি। ২০০৮ সালে নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থাও খারাপ ছিল। মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। এমন নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা আসতে থাকি।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম : সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় ছয়টি স্কিম থাকবে। প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী স্কিম উদ্বোধন করেন।

বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।

শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি এই কর্মসূচির আওতায় থাকবেন। তারা হলেন প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও অসচ্ছল ব্যক্তিরা।

মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর। টানা ১০ বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পরে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন।

এর আগে গত সোমবার সরকার সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতির গেজেট প্রকাশ করে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এই পদ্ধতিটি চালু করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।

 

 

 

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page