অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা কাজ করছেন, তারা যদি দুর্নীতিতে না জড়ান তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে আসবে।
বুধবার ২৯ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন তিনি। শুনানিতে তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের এবং তা তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান আকাঙ্খা একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন। এই সমাজে একেবারেই দুর্নীতি নির্মূল হবে সেটা আমি বলছি না, দুর্নীতি পুরনো আমলেও ছিল ভবিষ্যতে থাকবে। কিন্তু ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে দুর্নীতি আমরা অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবো। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের সদ ইচ্ছা। যদি আমাদের সদিচ্ছা থাকে তাহলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে। এটা যদি নিশ্চিত করা যায় যে, এ দপ্তর যারা কাজ করছেন, তারা দু্র্নীতি করছেন না- তাহলে মনে করবেন যে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত কিংবা বিভিন্ন সময়ে যে আন্দোলন হয়েছে কিংবা হচ্ছে তার পেছনের কারণটা কি? কারণ হচ্ছে সমাজে আমরা এক ধরনের অবিচার লালন করি। এবং প্রতিটা অবিচারের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে এর মুলে রয়েছে দুর্নীতি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির যে চলমান সংকট; এই সংকটটা কিন্তু সেবাগ্রহীতাকে নিয়ে নয়, সেবাদাতাকে নিয়ে। সেবা গ্রহিতার প্রত্যাশা থাকতেই পারে ভালো সেবা পাওয়ার। কিন্তু যারা সেবাদাতা তারা এক অর্থে আমলা। এখন সেই আমলারা যদি অপব্যবহার না করেন, ক্ষমতাটাকে দায়িত্ব মনে করেন-তাহলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। আর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্নীতি কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ, দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন, কুমিল্লা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান।
Leave a Reply