অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লায় রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধি ক্ষেত্র। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই সমাধি ক্ষেত্র দেখতে আসেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা। তাছাড়া প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এখানে এসে নিহত যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়নামতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধি ক্ষেত্র। এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৭ সেনা। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কমনওয়েলথ গ্রেভ ইয়ার্ড কমিশন।
১৯৪১-১৯৪৫ সালে বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে যে ৪৫ হাজার কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত হন, তাদের স্মৃতি রক্ষায় তৎকালীন বার্মা, আসাম এবং বাংলাদেশে ৯টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা সমাধি ক্ষেত্রে ৫৬৭ জন নাবিক, ১৬৬ জন বৈমানিক ও ৩ জন সৈনিকের সমাধি রয়েছে। ১৯৬২ সালে একটি সমাধি থেকে দেহাবশেষ নিহত সৈনিকের স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়। বর্তমানে সমাধি সংখ্যা ৭শ’ ৩৬টি।
সাড়ে চার একর পাহাড়ি ভূমি জুড়ে সমাধিক্ষেত্রটির ভেতরের দেয়ালে ইংরেজি ও বাংলায় লিপিবদ্ধ আছে ইতিহাস। পায়ে চলা পথের দু’পাশে সারি সারি কবর ফলকে খোদাই করা নাম, বয়স, পদবি নিহত হওয়ার তারিখ ও ঠিকানা।
সমাধিক্ষেত্রটি পরিদর্শনে প্রতিবছর বিট্রিশ, ইউরোপি ইউনিয়ন, অস্ট্রোলিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কানাডা, সুইডেন, মালোশিয়া, মালদ্বীপ, জাপান, পোল্যান্ড, মরক্কোসহ ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধর্মীয় গুরুরা এখানে আসেন।
অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে সমাধিক্ষেত্রটি। বাংলাদেশে দুটি কমনওযয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে। একটি কুমিল্লায় অপরটি চট্টগ্রামে।
Leave a Reply