অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নওগাঁর মান্দায় টিসিবির কার্ড আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের দাবি পূরণ করতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের। তারপরই তাদের ভাগ্যে জুটেছে টিসিবির পণ্য। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগীদের মাঝে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলার কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে বসতবাড়ির হোল্ডিং নম্বর দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছেন গ্রাম পুলিশ। অনেকে এটি নিয়েছেন আবার কেউ কেউ নেয়নি। টিসিবির কার্ডধারী যারা হোল্ডিং নম্বর প্লেট নেয়নি আজকে তাদের কার্ড আটকে টাকা আদায় করা হয়েছে।
ইউনিয়নের চকশ্রীকৃষ্ণ গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, টিসিবির পণ্য নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসি। এ সময় গ্রাম পুলিশ হোল্ডিং নম্বর প্লেট বাবদ ১০০ টাকা পরিশোধের টোকেন দেখতে চান। সেটি দেখাতে না পারায় লাইনে দাঁড়াতে দেয়নি। পরে টাকা দিয়ে নম্বর প্লেট নিয়েছি। এর পর লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিতে হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রাম পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোল্ডিং নম্বর প্লেট দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছে। এর পর তারা একটা টোকেন দিয়েছে। কার্ডের সঙ্গে সেই টোকেন দেখিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে হচ্ছে। আগে যারা টাকা দেয়নি তাদের কার্ড আটকিয়ে টাকা আদায় করেছে।
অভিযুক্ত কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু বলেন, ইউনিয়নে বসতবাড়ির হোল্ডিং নম্বর দিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। টিসিবির কার্ডধারী যারা হোল্ডিং নম্বর প্লেট নেয়নি তাদের কাছ থেকে ওই ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিলো। ইউএনও ফোন দেওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্ড আটকে টাকা আদায় কিংবা পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির মুন্সী বলেন, হোল্ডিং নম্বরের সঙ্গে টিসিবি পণ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর চেয়ারম্যানকে হোল্ডিং নম্বরের টাকা আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে।
Leave a Reply