অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দেড় থেকে দুই হাজার নেতাকর্মীকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে বুধবার সন্ধ্যার আগে-পরে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দেড় থেকে দুই হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিকাল ৪টার কিছু সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামনের সড়কে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
এসময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা এ্যানি ও জুয়েলকে তুলে নিয়ে যান। তবে সাংবাদিকরা ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে তাদের আটক করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
Leave a Reply