অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। প্রায় তিন বছর ধরে গ্যাস সংকটের এ চিত্র বলে অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
তারা বলছে, কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) এবং ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলাতে না পারলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার (২১ জুন) আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া ‘মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং’ কারখানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহনেওয়াজ পারভেজ।
পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসেছিলাম। গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরের জন্য কাজ করছি।’
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই এ নেমে আসে। আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআই আসে। এ অবস্থায় কারখানা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো উপজেলায় দেড়শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, সারাদেশেই গ্যাসের সাপ্লাই কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সাপ্লাই হচ্ছে, সেখান থেকে আড়াইহাজার উপজেলা সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত। ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য কাজ করছে।