অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: নারী ইস্যুতে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত যৌক্তিক এবং প্রামাণ্য। পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি হলো স্বার্থ ও আনন্দ উপভোগ কেন্দ্রিক।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ হাজার হাজার নারীর এক সমাবেশে ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: পরিবারে নারীর বিভিন্ন মাত্রিক উপস্থিতিসহ সমাজ, রাজনীতি বিচিত্র ব্যবস্থাপনায় তাদের সীমাহীন তৎপরতার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন: ইসলামে সামাজিক তৎপরতায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরও বিভিন্ন স্তরে ভূমিকা ও কার্যকলাপের পথ উন্মুক্ত। তবে দুটি বিষয়ে সংবেদনশীলতা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শর্ত দুটি হলো পারিবারিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া এবং যৌন আকর্ষণের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকা।
ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা গত (বুধবার) সকালে হযরত ফাতিমাতুজ-জাহরা (সা.)-এর জন্মদিবসের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে আরও বলেন: ইহকাল এবং পরকাল-উভয় জগতের শ্রেষ্ঠ এই নারী ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করা সহজ ব্যাপার নয়। একটি সহীহ হাদীসের উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন: হজরত ফাতেমা (সা.) রাগ করলে আল্লাহও রেগে যান আর তিনি সন্তুষ্ট হলে আল্লাহও সন্তুষ্ট হন। কোনো মানুষের জন্য এর চেয়ে উচ্চতর আর কোনো গুণ কল্পনাও করা যায় না। তাই যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায় তার উচিত পরিবার, কন্যা, মা, স্ত্রীর ব্যাপারে হযরত ফাতেমা (সা)র সুপারিশ, শিক্ষা ও নির্দেশনা মেনে চলা। একইসঙ্গে সমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাঁর নির্দেশনা মেনে কাজ করা।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন: একজন নারীর পরিচয়, তার মূল্যবোধ, অধিকার, কর্তব্য, স্বাধীনতা এবং সীমাবদ্ধতা ইস্যুতে বিশ্বে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। একটি পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি অপরটি ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি। পশ্চিমারা নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে ভোগ্য পণ্যে পরিণত করেছে। অপরদিকে ইসলাম নারীকে দিয়েছে তার উপযুক্ত সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার।
Leave a Reply