October 10, 2025, 10:52 am
শিরোনামঃ
গাজা জিম্মি মুক্তি চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান পুতিনের ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল ও ভায়াগ্রা উদ্ধার ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী আইন : এইচআরডব্লিউ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাতিল করা হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া সকল মামলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পাবেন ১০ম গ্রেডে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক গঠিত হচ্ছে আরব আমিরাতে ২৫ বন্দির মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ পঞ্চগড়ের ১১ বছরের শিহাব ১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ
এইমাত্রপাওয়াঃ

নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা দলীয় আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, ‘দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না, সেটা আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব। কেউ যদি মনের মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষও রাখেন, সেটার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেসেজ হবে-তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলবো।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে। আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সামনে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য-একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বস্তরের জনগণ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ-সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজ উপস্থিত আছেন, সবাই অভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন। আপনারা জানেন কোথায় কোথায় গ্যাপ থেকে যায়, কোথায় দিয়ে কারচুপি বা ম্যানিপুলেশন হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, যেন আমরা আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারি। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

আজকের এই সংলাপে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আরেক দফা মতবিনিময় সভা করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার দেশের প্রধান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।

ইসি জানিয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই-দেশবাসীর আস্থা ফিরে আনা, একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।’

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page