অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক। তিনি জানান, ২৮৩ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবে দলটি।
মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ভালোভাবে করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সে কারণে আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে, চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পক্ষ থেকে আমি জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীকে অনুরোধ করব, আমরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং নির্বাচন যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, প্রতিযোগিতামূলক হয়—আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, আমরা ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এসব আসনে যারা নির্বাচন করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা হয়েছে বা হবে- এ রকম একটা অবস্থা আছে। তবে নির্বাচনে যাচ্ছি, এটাই বড় কথা।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন করার জন্য আমাদের সব প্রার্থীদের আমরা আজকে চিঠি দিচ্ছি এবং আগামী তারা প্রতীক যাতে নেয় সেই লক্ষ্যে তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে দুপুরে কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, জাপা নির্বাচনে থাকবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিচ্ছিলেন তারা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনে থাকা না থাকা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয় নয়, দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
এদিকে সকাল থেকে বনানী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের মুখে ছিল ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’, ‘জিএম কাদেরের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘দালালি আর করিস না’ ইত্যাদি স্লোগান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছান জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এছাড়াও আগে-পরে মিলিয়ে কার্যালয়ে আসেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। তাদের কার্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
দুপুরেও কার্যালয়ে সামনে ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। তখনও সেখানে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল। থেমে থেমে বিক্ষোভ করছিলেন তারা।
এবারের নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কয়েক দফায় জাপার বৈঠক হয়। গত শুক্রবার জাপা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ২৬টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয় আওয়ামী লীগ। সেই তালিকায় জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম নেই। এরপর শনিবার বৈঠক হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কোনো পক্ষই। আসন ভাগাভাগি থেকে সরে আজ ২৮৩ আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দিল জাতীয় পার্টি।
Leave a Reply