অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিপিএন (মাওবাদী) নেতা পুষ্পকুমল দাহল প্রচণ্ড নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। কিছুটা নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। শপথ গ্রহণের ঠিক আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং ভারত ও নেপালের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
মোদী জানিয়েছেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক জোটকে আরও শক্তিশালী করতে প্রচণ্ডের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
বছরের শেষে কূটনৈতিক শিবির জানিয়েছে, নেপালি সরকারের এই ‘কিং মেকার’ কেপি শর্মা অলি যে ভারতের জন্য বিপজ্জনক তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। ভারত যখন চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় রয়েছে, তখন এই নতুন সরকার নেপাল ইস্যুতে অদূর ভবিষ্যতে ভারতকে যথেষ্ট গতি দিতে পারে।
ভারতকে উদ্বিগ্ন করতে প্রচণ্ডের দলের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির দলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। দুই পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি করবেন। প্রথম দফায় প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাজি হন অলি। তাই এখন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেশ ব্যস্ত। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন অলি।
নয়াদিল্লির আশঙ্কা, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অলি প্রতিনিধি পরিষদে বসতে পারেন। ২০২০ সালের জুনে চীন যখন ভারতের পূর্ব লাদাখ দখল করে তখন অলি সরকার ভারতের আপত্তিতে দেশের নতুন মানচিত্র সীলমোহর করার জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করে।
দিল্লির দাবি, নেপাল নতুন মানচিত্রে ভারতের প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটারকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে মুখ পুড়ে মোদী সরকারের।
চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অলি কি বেইজিংয়ের নির্দেশেই এমনটা করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নেপালের দুই প্রধান কমিউনিস্ট পার্টির এই নতুন জোট ভবিষ্যতে চীনকে কৌশলগত অবস্থানে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply