অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমপি মোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে সেনবাগ উপজেলা সদর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে পুলিশের এক এএসআইসহ ছয়জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে পুলিশের এএসআই মো. কাউসার সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই ঘটনায় আরটিভি ও দৈনিক যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারীও আহত হয়েছেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সেনবাগ সরকারি কলেজে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের এক সমর্থকের সঙ্গে এমপি মোরশেদ আলমের এক সমর্থকের হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ গেট এলাকায় মানিকের সমর্থককে মারধর করে এমপির সমর্থকরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুল আলম। পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমপি মোরশেদ আলম ও আতাউর রহমান মানিক দুজনই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। তাদের সমর্থকরা অনেক দিন পর মিছিল করতে বাজারে জড়ো হয়েছিলেন। তখন দু’পক্ষের মধ্যে হালকা উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় একাধিক পটকা বিস্ফোরণ ঘটে। দু’পক্ষকে থামাতে গিয়ে আহত হন পুলিশের এএসআই কাউছার। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। পুলিশ টহলে রয়েছে।’
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পর জনসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এতে হতাশ হয়ে এমপি মোরশেদ আলম তার সমর্থকদের দিয়ে এলাকায় বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা শুরু করেন। একজন কর্মীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন তিনি (মোরশেদ)।’
মানিকের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে এমপি মোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি আমার সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি। কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা ঝামেলায় না জড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছি।’
Leave a Reply