অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নড়াইল সদর থানার আগদিয়া গ্রামের আসাদুল খন্দকার নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পরিবার। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে সদরের আগদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকারের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামিল কবির ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ব্যবসায়ী আসাদুলের মোবাইল ফোনে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ঘণ্টা খানেক পর আবারও ফোন করে চাঁদা না দিলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন আসাদুল খন্দকার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগের পর দিন অর্থাৎ বুধবার রাতে তার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ওই অজ্ঞাত হুমকিদাতা আবারও ফোন করে আবারও হুমকি ধমকি দেন।
একটি কল রেকর্ডে ব্যবসায়ী আসাদুলের উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত ওই হামলাকারীকে বলতে শোনা যায়- ‘তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।’
তখন পাশে থাকা বিছালী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলমের কাছে ফোনে ধরিয়ে দেয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এসময় নিজের পরিচয় দিয়ে এসআই শাহ আলম অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে বলেন, ‘ভালো আছেন? কি বলছেন ভাইকে (ব্যবসায়ী আসাদুল)’
পুলিশ সদস্যের ওই প্রশ্নের জবাবে উত্তর আসে, ‘কি বলছি সে বলেনি আপনাকে? তার থেকে জেনে নেন।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকার বলেন, ‘আমার ছেলে মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে দুই দফায় হুমকি দেওয়া হয়। ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি ও দেয় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার হুমকি দাতাদের মোবাইল নম্বর নিয়ে সদর থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে না পেরে অভিযোগ দিয়ে আসি। অভিযোগ দিয়ে আসার পর, পুলিশ আমার খোঁজ না নিলেও সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা মেরে গেছে।’
নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।