অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পণ্য সরবরাহে কোন ধরণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেয়া হবেনা।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আয়োজিত সার্বিক বাজার পরিস্থিতি, টিসিবির পণ্য বিতরণের সার্বিক কার্যক্রম ও দ্রব্যমূল্য বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কাছে যাতে বাজার জিম্মি হয়ে না পড়ে সেজন্য আমরা বাণিজ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের সংযোগ বাড়াতে চাই। এর মাধ্যমে বাজারে সরবরাহও বাড়বে।
বাজার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি সনাতন লেনদেন কাঠামো পরিবর্তন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পাইকারী থেকে খুচরা সব পর্যায়ে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কোন অস্বচ্ছতা রেখে বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে খাতুনগঞ্জে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) এবং সেলস অর্ডার (এসও) বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য এখন ভার্চুয়ালি হচ্ছে কিন্তু পণ্য সরবরাহ হচ্ছেনা। শুধু ডিও বিক্রি করে লাভবান হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পণ্য সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে ভার্চুয়াল বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ এবং ছাত্র প্রতিনিধি জোবায়েরুল আলম বারী।
চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জানান, গত ২ মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ৬১টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ৪ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সভায় চট্রগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply