ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি দৈনিক নবচিত্রে“ হরিণাকুণ্ডুতে নবায়নবিহীন অবৈধ্য ক্লিনিক ডবয়াগনিস্টিক সেন্টারের জমজমাট ব্যবসা বন্ধের দাবী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার পরিপেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ অভিযানে যান। সরোজমিনে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পেয়ে সকল বেসরকারি ক্লিনিককে নবায়নের জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন পরিদর্শনকালে নিউরেসিডো প্রাইভেট হাসপাতালে কোন ডিপ্লোমা নার্স পাওয়া যায় নাই। এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালের অবস্থাও মানহিন। এসব ক্লিনিকে,ডাক্তার,নার্স,আয়া, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি,পরীক্ষার উপকরণ কোন কিছুই নিয়মমাফিক পাওয়া যায় নাই।
উল্লেখ্য গত ২৩ আগস্টেIJ২০২১ এর মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ০৮ আগস্টেIJ২০২১ তারিখ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টাস্কর্ফোসের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের কাছে পৌছে দেয়ার সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহন করেছে কিন্তু এর পরও ঝিনাইদহের হরিনাকুÐ উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করনে কোন ভূমিকা রাখেনি ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডুতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী সেবার নামে চলছে প্রতারণা। অপরদিকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। একাধিক সুত্রে প্রকাশ উপজেলাতে অবৈধ পন্থায় গড়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র , লাইসেন্সও যন্ত্রপাতি ছাড়াই ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এ সব ক্লিনিকের নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, পরীক্ষার উপকরণ, ডাক্তার ও নার্স। শুধু রোগীদের সেবার নামে চলছে প্রতারণা ও ভোগান্তি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উপজেলাতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে অসহায় রোগীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। হরিণাকুÐতে এই রকম একটি লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল হচ্ছে নিউ রেসিডো (প্রাঃ) হাসপাতাল । বর্তমানে এই ক্লিনিকটির বেহালদশা। সরকারি বিধিমতে একটি ক্লিনিকে কমপক্ষে তিন জন এমবিবিএস চিকিৎসক, ছয় জন নার্স ও দুই জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকার কথা। প্রতিটি শয্যার জন্য থাকতে হয় ৮০ বর্গফুট জায়গা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপারেশন থিয়েটার, এর সঙ্গে আরও দরকার হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন (টেক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর) ও বিআইএন (বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর), সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। তবে শয্যা সংখ্যা বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল থাকতে হবে কিন্তু বাস্তবে এর কোন মিল নেই এই নিউ রেসিডো (প্রাঃ) হাসপাতালের। নেই কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং নারকোটিকসের লাইসেন্স। নারকোটিকসের লাইসেন্স ব্যাতিত প্রাইভেট হাসপাতালের সরকারি অনুমোদন সম্ভব নয়। তারপরও এই প্রতিষ্ঠান এই সবের তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ মারার ব্যাবসা। ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জনের এই তৎক্ষনাৎ অভিযানে তিনি সর্বমহলের প্রসংসা কুড়িয়েছেন।
Leave a Reply