অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে আবহাওয়া পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। রোববার (২৫ জুন) বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৫ জন। খবর জিও নিউজের।
পাঞ্জাবের নারোওয়াল, পসরুর, শেখুপুরা ও শিয়ালকোটে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এতে আহত হয়েছে সাত জন।
লাহোরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শতধিক বিদ্যুৎ ফিডার বিছিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে দেশটির সবচেয়ে বড় প্রদেশেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেখানের নাগরিকরা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়ায় অবিরাম বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বুনেরের তখতা বান্দ গ্রামে একটি বাড়ির ছাদ ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ছয়জন।
ভারী বৃষ্টি হচ্ছে শাবকদর, সোয়াত, চরসাদ্দা, মানসেহরা, লোয়ার দির, সোয়াবি ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানেও।
বেলুচিস্তানের শেলা বাগ, টোবা আচাকজাই, মুসা খেলা, জিয়ারাত উপত্যকা, নোশকি ও ওয়াশুকেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মুজাফফরাবাদ আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানের একটি রাস্তা থেকে ১২ বছর বয়সী এক এতিম কিশোরীকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এরপর গত শুক্রবার সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (২৬ জুন) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর দাদার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী তার দাদা-দাদির সঙ্গে বসবাস করে। শুক্রবার যখন কিছু কেনাকাটা করতে পাশের দোকানের উদ্দেশে যায় তখন রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
Leave a Reply