অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদের বাজেট পেশ করার পর নানা মহল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া আসছে। আমরা সব প্রতিক্রিয়া আমলে নিচ্ছি। যেগুলো বাস্তবসম্মত এবং বাজেটে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা হবে। কারণ এখনো বাজেট পাশ হয়নি।
ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি :প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট পেশ করার পর নানা মহল নানা বক্তব্য দিচ্ছে। আবার অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাদের উদ্দেশে বলব, আমাদের অর্থনীতি নিয়ে, বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কী বলছে সেদিকেও নজর দিয়েন। আমার টাকা লাগবে, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। না হলে আপনারা (সমালোচকরা) টাকা দেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার। অনেকে বলে কী বাজেট দিয়েছে, এ সরকার পড়ে যাবে। সরকার তো পড়ে নাই। আবার অনেকে বলে, দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। কোথায় দেউলিয়া হয়েছে? দেউলয়া মানে কী? দেখেন আমরা দেউলিয়া হয়েছি কি না। বাজেট দিলাম, এটা দেখেন ও বোঝার চেষ্টা করেন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো কিছুতে সমস্যা থাকলে পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা আছে। সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্ব সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। ঈদে যে হারে পশু কোরবানি হয়েছে, সেটাকে দেশ ভালো থাকার একটি সূচক বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ ভালো আছে। বিশ্বব্যাংকও এ কথা বলেছে। আমরা বাজেট দিয়েছি অনেক চিন্তাভাবনা করে। অর্থনীতি নিয়ে প্রিম্যাচিউর বক্তব্য দেবেন না। আমি আপনাদের নিরাশ করতে চাই না। শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের পকেটে টাকা না থাকলে লাখ টাকা দিয়ে কেউ কোরবানি দিতেন না। মানুষের পকেটে টাকা আছে। একসময় বড় বোয়াল সারা দিন বিক্রি হতো না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে থাকত বাজারে। এখন বড় বোয়ালের তিন জন ক্রেতা দাঁড়িয়ে থাকেন। গ্রামের মানুষেরও সক্ষমতা বেড়েছে। ভর্তুকির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে এমনি এমনি আসেনি। কারণ, ১৪ বিলিয়ন ডলার সার ও জ্বালানি তেল আমদানিতে বাড়তি খরচ দিতে হয়েছে। দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে। সামনে আরও ভালো সময় আছে। বাজারে কোনো পণ্যের যেন ঘাটতি না থাকে, সে জন্য আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার থেকে আদা ও মরিচ আমদানির চেষ্টা করছি। আমরা চাই, ১২ মাস কোনো পণ্যের যেন ঘাটতি না থাকে। ডলারের দাম বাড়লেও ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল রাখছি।
Leave a Reply