অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা, আলফাডাঙ্গা ও সালথা উপজেলায় ঝড়ে কয়েকটি গ্রামের দেড় শতাধিক কাঁচা-পাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপড়ে পড়েছে তিন শতাধিক গাছপালা ও বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি।
এদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঝড়ে ঘরের নিচে গাছচাপা পড়ে ঝর্ণা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, টিনের ঘরে গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এছাড়া ঝড়ে আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুর পাড়, কর্ণিকান্দা, তাড়াইল, ঈশ্বরদী গ্রাম, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া গ্রাম এবং হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী, বড় হামিরদী গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ সময় কয়েক শ গাছ ভেঙে গিয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী এলাকায় কয়েকটি বড় গাছ ভেঙে যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তুলকদার আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আজিমনগর ইউনিয়নের ৩০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, দুই কেজি করে ডাল, এক লিটার করে তেল বিতরণ করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাকিদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পরে টিনও বিতরণ করা হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। কিছু সাহায্যও করেছি। বাকিদের তালিকা করে সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Leave a Reply