October 11, 2025, 11:52 am
শিরোনামঃ
নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করছে নোবেল ইনস্টিটিউট সুদানের বাস্তুচ্যুত আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলায় ৩০ জন নিহত যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরছেন ৩০৯ বাংলাদেশি শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্তির চেষ্টা করছে সরকার ফরিদপুরে মসজিদের চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে আহত ২০ জন গাজীপুরে প্রধান সড়কে উঠতে বাধা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটালেন অটোরিকশা চালক শিশু শান্তি নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সাতক্ষীরার সুদীপ্ত ওবামা কিছু না করেই নোবেল পেয়েছেন : ট্রাম্প গাজা জিম্মি মুক্তি চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল
এইমাত্রপাওয়াঃ

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তু করে এআই ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী অভিবাসী এবং অ-মার্কিন নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালাতে যুক্তরাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করেছে।

অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই কাজে ‘প্যালানটির’ ও ‘বাবেল স্ট্রিট’ নামের দু’টি প্রতিষ্ঠানের এআই টুল ব্যবহার করছে।

সান ফ্রান্সিসকো থেকে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক পর্যালোচনায় জানিয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নথি থেকে জানা যায়, এই এআই কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা সফটওয়্যার দিয়ে গণ-নজরদারি এবং জনগণকে মূল্যায়ন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রায়ই লক্ষ্যবস্তু করা হয় যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন তাদের।

এরিকা গুয়েভারা-রোসাস নামে মানবাধিকার সংস্থাটির একজন বলেন, ‘ফিলিস্তিনপন্থি মতপ্রকাশ দমন ও  গণ-বহিষ্কার কর্মসূচি চালাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগ্রাসী এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর কারণে বেআইনি আটক ও গণ-বহিষ্কারের ঘটনা ঘটছে, যা অভিবাসী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।’

অ্যামনেস্টির গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অভিবাসী, শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নজরদারি করতে যুক্তরাষ্ট্র এই এআই টুল ব্যবহার করছে।

অ্যামনেস্টি জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মসূচির আওতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি, ভিসার অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের মতো ভিসাধারীদের ঝুঁকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করছে।

গুয়েভারা-রোসাস বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনের দমনমূলক কর্মকৌশল বাস্তবায়নে ‘বাবেল এক্স’ ও প্যালানটিরের ‘ইমিগ্রেশন ওএস’ এর মতো সিস্টেমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্যালানটির ও বাবেল স্ট্রিট প্রমাণ করতে না পারে যে তাদের প্রযুক্তির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না, তবে তাদের উচিত হবে অভিবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে অবিলম্বে কাজ বন্ধ করা।’

অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, এই নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা বাড়তে পারে। এতে তিনি চাইলেই ‘প্রান্তিক মানুষদের নির্বিচারে বহিষ্কার’ করতে পারবেন।

জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে যে তারা ‘উদার’ রাজনীতির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাদের এন্টি সেমেটিক বলে অভিযোগ করেছেন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং অবস্থান ধর্মঘটকে ‘ইহুদি বিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং এতে অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে।

ট্রাম্প শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, বিশেষ করে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন।

 

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page