অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বগুড়ার ধুনটে ৭ বছরের শিশু তাবাসসুমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ রায় দেন। েরায় শুনানির আগে আসামিদের এজলাসে আনা হয়।
ফাঁসির আসামিরা হলেন ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ, দলিল উদ্দীন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা, সানোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম রেজা ও সাহেব আলীর ছেলে লাবলু শেখ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, তাবাসসুমের ডিএনএ টেস্টে ৪ জনের নমুমা পাওয়া যায়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচার হওয়ায় সন্তুষ্ট তারা।
এদিকে তাবাসসুমের মা-বাবা জানান, নিষ্পাপ শিশুকে ডাক্তার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন এখন অধরা। দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি তাদের।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বরে ওয়াজ মাহফিলের মেলায় ঘুরতে গেলে নিখোঁজ হয় তাবাসসুম। পরের দিন বাঁশ ঝাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
দু’দিন পর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামি বাপ্পীর পরিবারের সঙ্গে শিশু তাবাসসুমের বাবা খোকনের দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার প্রায় তিন মাস আগে বাপ্পী তাবাসসুমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর তাবাসসুম তার দাদা-দাদী এবং দুই ফুফুর সঙ্গে ইসলামী জলসায় গেলে আসামিরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যার পরিকল্পনা করে।
ওয়াজ মাহফিল চলাকালে রাত ৯টার দিকে আসামিরা তাবাসসুমকে বাদাম কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। এ সময় তাবাসসুমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
এ মামলায় ২০২১ সালের নভেম্বরে পুলিশ বাপ্পী, শামীম রেজা, লাবলু ও কামাল পাশাকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে।
Leave a Reply