December 3, 2025, 11:51 pm
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ সরকারের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছালো শ্রীলঙ্কায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির কোন সরকারি অনুমোদন নেই : বাণিজ্য উপদেষ্টা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘন্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইসি ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, ; হাসপাতালে  নতুন ভর্তি ৪৯০ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ভারতের কারাগার থেকে ৩০ বাংলাদেশিকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করলো বিএসএফ ঝিনইদহের কালীগঞ্জে ১ হাজার ৪২০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর মুরাদ হত্যা মামলার আসামি বাগেরহাটে থেকে গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব সামরিক পদক্ষেপ থামাতে আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ লিও ১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

বরিশালের বাকেরগঞ্জের হাজার হাজার পরিবার নদী ভাঙনে দিশেহারা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কারখানা নদী গ্রাস করেছে দুধল, কবাই ও ফরিদপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার বসতি বাড়ি।  তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার একর ফসলি জমি নদী গর্বে বিলীন।

এছাড়াও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কবাই ইউনিয়নের শিয়ালঘুনী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজন্ট কলেজ ও শিয়ালঘুনী ৭০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সরেজমিনে দেখ যায়, কারখানা নদীর দুই পারে গড়ে ওঠা দুধল, কবাই ও ফরিদপুর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম ভাঙনের মুখে। হুমকির মুখে আছে নতুন করে গড়ে উঠা কবাই বাজার, ৪ নং দুধল ইউনিয়ন শতরাজ বাজার, শিয়ালঘুনী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজন্ট কলেজ ও শিয়ালঘুনী ৭০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে কোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী শত শত পরিবারের।

কবাই ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা বারেক খান জানান, গত বর্ষা মৌসুমে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। এতে কোনো রকম টিকে আছে ৭০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিয়ালঘুনী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজন্ট কলেজ। এখনো নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দুটি গ্রামের দেড় শতাধিক বসতবাড়ি ও দুই শত একর ফসলি জমি নদীতে গেছে। এতে এই এলাকার অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বাজারে, নদীর পাড়ে, রাস্তার পাশে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। শিয়ালঘুনী বাজারে রয়েছে অন্তত দেড়শ’ দোকানপাট যা নতুন করে আবারও ভাঙনের কবলে।

অপরদিকে দেখা যায়, কারখানা নদীর ভাঙনে ফরিদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফরিদপুর গ্রাম ও চর রাঘুনদ্দি গ্রাম ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে। ১২৮ নং চর রাঘুনদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। পশ্চিমা ফরিদপুর গ্রামের ভেরি বাঁধ বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে গেছে। প্রতিবছর ভাঙ্গন স্থানে ভেরি বাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা হলেও বর্ষ মৌসুমে তা নদীতে হারিয়ে যায়।

ফরিদপুর গ্রামের শাহজাহান মল্লিক জানান, প্রায় এক যুগ আগে থেকে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে সড়ক বসত বাড়িসহ ফসলি জমি। সরকারি ভাবে ভাঙ্গন রোধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যাবস্থা। অনেক পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে পথে বসেছেন। প্রতিবছর বেরিবাঁধ ভেঙে বর্ষা মৌসুমে লোকালয়ে পানি চলে আসে। কৃষি কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না। অব্যাহত ভাঙন রোধ করা না হলে খুব কম সময়ে পশ্চিম ফরিদপুর গ্রাম নদীতে চলে যাবে।

কবাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল তালুকদার জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষের বাড়ি ঘর অনেক আগেই নদীতে হারিয়েছি। বাড়ির সামনে পারিবারিক গোরস্থান ছিল তাও নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।

ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম, শফিকুর রহমান জানান, ভাঙন রোধে বড় ধরনের বরাদ্দ দরকার। না হলে আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে আমাদের ইউনিয়নটি নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পায়।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, কারখানা নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page