অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার ফেডারেল সরকারের শাটডাউন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। বাজেট পাসের জন্য সিনেটে ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এর ফলে এবারও বাজেট বিল পাস হয় নি।
আমেরিকার সিনেট আবারও প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, যার ফলে ফেডারেল সরকার পুনরায় চালু করার ১২ দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিল’র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের এই দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এখন এক সংকটপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং রিপাবলিকান নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন এই অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রক্রিয়াগত বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।
রিপাবলিকানদের একটি অংশ এখন “ফিলিবাস্টার” (বিল পাস বিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ কৌশল) আইনটি পরিবর্তন বা বাতিল করার চেষ্টা করছে, যাতে ৬০ ভোটের প্রয়োজন ছাড়াই স্বল্পমেয়াদি বাজেট বিল পাস করা যায়।
দ্য হিল আরও লিখেছে, যেহেতু ডেমোক্র্যাটরা তাদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত দাবিতে অনড়, সে কারণে রিপাবলিকানরা এখন একটি “বিকল্প পরিকল্পনা” বা “প্ল্যান বি” নিয়ে ভাবছে।
ফেডারেল সরকারের এই অচলাবস্থা এখন আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম বাজেট সংকটজনিত শাটডাউন হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিনব্যাপী শাটডাউন ছিল।
এবারও ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অপরকে এই অচলাবস্থার জন্য দোষারোপ করছে। এদিকে এর বাস্তব প্রভাবও ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে—সরকারি সহায়তা কর্মসূচির তহবিল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে, যা নিম্নআয়ের মানুষের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফেডারেল কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। যদিও এক বিচারক সাময়িকভাবে গণছাঁটাই স্থগিত করেছেন, তবে সেই আশঙ্কা এখনো রয়েছে। ফেডারেল চুক্তির ওপর নির্ভরশীল অনেক ছোট ব্যবসা কাজের সময় কমাতে বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।