অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিসহ দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই প্রথম বৈঠকে উভয় দেশের জন্য দুর্লভ খনিজের গুরুত্ব নিয়েও কথা হয়েছে বলে গোর জানিয়েছেন।
যদিও গোর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেননি, কেবল ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতেই ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিনি ভারতে নামেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এই বৈঠক হয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে। মোদি এই বৈঠক নিয়ে এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। তার সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদার হবে বলে আমি আশাবাদী।’ ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক কর্মকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ দূত পদে গোরের নিয়োগ সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে নিশ্চিত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পদক্ষেপ ভারতের প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি পণ্যে প্রভাব ফেলবে এবং পোশাক, রত্ন, জুয়েলারি ও চিংড়ি খাতের মতো বেশি শ্রমিক কাজ করে এমন খাতগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় গোর বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ব্যক্তিগত ও চমৎকার বন্ধু বিবেচনা করেন।’ গোর তার ভারতে রওনা হওয়ার আগে ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে হওয়া ‘অনন্যসাধারণ’ ফোনালাপের কথাও সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন। মোদিও জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তার সঙ্গে ট্রাম্পের কথা হয়েছে এবং তারা ‘বাণিজ্য আলোচনায় অর্জিত সাফল্য পর্যালোচনা করেছেন’।
গোর ভারতে এসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও দেখা করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথমে ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বসিয়েছিলেন ২৫%, কিন্তু নয়া দিল্লি রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখায় এই শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়।
সাক্ষাৎকালে গোর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের একটি আলোকচিত্রও উপহার দেন। ফ্রেমে বাঁধানো ওই আলোকচিত্রটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরও রয়েছে।