October 22, 2025, 6:39 pm
এইমাত্রপাওয়াঃ

বিদ’আত সৃষ্টিকারীর পরিনাম প্রসঙ্গে হাদীসে কুদসীসমূহ (বাংলা অর্থ)

রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ “ যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনের ব্যাপারে এমন কোন নূতন বিষয় প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নহে , তা পরিত্যাজ্য : তাই বিদ‘আত।” আল্লাহ্র দ্বীনে নূতনত্ব ও বিদ‘আত প্রবর্তন সম্বন্ধে রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। কারণ ধর্মের ভেতরে নূতন রীতিনীতি ও পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে ইতিপূর্বেও আল্লাহ্র মনোনীত দ্বীনকে বিকৃত করা হয়েছে। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ জন্যেই রসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতগণকে পূর্বাহ্নেই সাবধান করে গিয়াছেন। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় যে, এ সতর্কবাণী ও তাগিদ সত্তে¡ও বর্তমান যুগে বিদ‘আত অধিক প্রবলও প্রভাবশালী হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরকে এর প্রতিরোধ করে তদস্থলে রসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের প্রবর্তন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া আবশ্যক।
১. নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ঃ “আমি তোমাদের সকলের আগেই হাউযে কাওসারের কাছে হাজির থাকব। আমি তোমাদের দেখতে পাব। তোমাদের কতিপয় ব্যক্তি আমার দিকে মাথা তুলে তাকাবে। আমি যখন তাদেরকে চিনতে পারব, তখন তাদেরকে আমার সম্মুখ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। অমি তখন বলব, “হে প্রতিপালক! তারা আমার সাথী, হে প্রতিপালক! তারা আমার সাথী।” তখন তাকে বলা হবে, “আপনি জানেন না এরা আপনার মৃত্যুর পর কি অভিনব কাজ করেছে।” বুখারী ও মুসনাদে আহমদে আলোচ্য হাদীসখানা হযরত হুযায়ফা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
২. নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার সঙ্গীদের একটি দল শেষ বিচার দিবসে আমার নিকট আগমন করবে এবং তাদেরকে হাউয থেকে পানি পান করতে বাধা দেয়া হবে। তখন আমি বলব, “হে আমার রব! তারা আমার আসহাব।” আল্লাহ্ বলবেন ঃ “নিশ্চয়ই তোমার পর ধর্মে যে নূতন প্রথা আবিষ্কার করেছে, এ বিষয়ে তোমার জানা নেই। তোমার পরে তারা পশ্চাদগমন করে মুরতাদ হয়ে গিয়েিেছল। ইমাম বুখারী আলোচ্য হাদীসখানা আবূ হুরায়রা (রাঃ)এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৩. নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে মানুষেরা তোমাদেরকে আল্লাহ্র সামনে একত্রে করা হবে পাদুকাহীন, বস্ত্রহীন,ও খাতনাহীন অবস্থায়।” আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন, “যেরূপভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছি, সেভাবেই প্রত্যাবর্তন করাব।”  জেনে রেখ শেষ বিচার দিবসে সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিকে পোশাক পরান হবে, তিনি হবেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)। আরও জেনে রেখ, আমার উম্মত থেকে কতক পুরুুষকে আনা হবে এবং তাদেরকে বামদিকে (জাহান্নামের দিকে) নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, “হে আমার প্রতিপালক! তারা আমার প্রিয় সঙ্গী ! আমার প্রিয় সঙ্গী ” তখন বলা হবে, তুমি জান না তারা তোমার অনুপস্থিতে দ্বীনের মধ্যে কি কি বিদ‘আতের প্রচলন করেছে। ” আমি বলব, “যেরূপ সৎ বান্দা (হযরত ঈসা আঃ) বলেছেন, আমি যতদিন জীবিত ছিলাম, ততদিন তাদের ওপর (পরিদর্শক) ছিলাম।” তখন বলা হবে, “তুমি তাদের থেকে বিছিন্ন হওয়ার পর থেকে তারা পিছু হটতে লাগল।” তিরবাণী ,আহমদ ও শায়খাইন আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা কেেরছেন।

 

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page