অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফাইনালে লিওনেল মেসির গোলের সময়ে নিয়মভঙ্গ করেছিল আর্জেন্টিনা শিবির। এই অভিযোগ তুলে মেসির গোল বাতিলের দাবিতে সরব ফ্রান্সের ফুটবল মহল। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ফাইনালের রেফারি সিমোন মারসিনিয়াক।
রেফারি সিমোন জানিয়ে দিলেন, আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের ম্যাচে তিনি একটি ভুল করেছিলেন। তার এই স্বীকারোক্তির পরে উত্তাল ফুটবল দুনিয়া।
অন্যদিকে, ফ্রান্সের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি পিটিশন সই করছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলভক্তরা। প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষের সই করা এই পিটিশনের দাবি, কান্না থামাও ফ্রান্স।
ফাইনালের পরেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তাতে দাবি করা হয়, অতিরিক্ত সময়ে মেসি যে গোলটি করেছেন তা বাতিল করা হোক। কারণ, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- মেসি যখন গোল লক্ষ্য করে শট মারছেন সেই সময়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররা যদি মাঠে উপস্থিত থাকেন, আর সেই সময়ে সেই দল গোল করে, তাহলে গোলটিকে বাতিল করার কথা লেখা রয়েছে ফিফার নিয়মে। সেই যুক্তিতেই সরব হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। কী করে এই বিষয়টি রেফারির নজর এড়িয়ে গেল, সেই অভিযোগও আনা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন ফাইনালের পোলিশ রেফারি সিমোন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্বীকার করেছেন, ফাইনাল খেলাতে গিয়ে তার ভুলের কথা। সেই সঙ্গে এমবাপ্পের গোলের একটি ছবিও দেখিয়েছেন তিনি।
রেফারির বক্তব্য, ‘এই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এমবাপ্পের গোলের সময়ও মাঠে ঢুকে পড়েছেন একাধিক ফরাসি ফুটবলার। তাহলে সেটা নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না কেনো?’ তবে সিমোন মেনে নিয়েছেন, একটা সময়ে ফ্রান্সের আক্রমণ থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সিমোন স্পষ্টভাবে বলেন, সেই সময় বিশ্রী ফাউল করেছিল আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা। তখন ফ্রান্স পুরোদমে আক্রমণ করছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল ওই সময়ে খেলা থামিয়ে কার্ড দেখানো উচিৎ। সেটা হয়তো না করলেও হত। এছাড়া আর কোনো ভুল হয়নি ফাইনালে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর দলের হার এখনও হজম করতে পারেননি ফরাসি সমর্থকরা। কার্যত তাদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে একটি পিটিশন শুরু করলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীরা। ওই পিটিশন প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ সই করে দিয়েছেন।
ভ্যালেন্টিন গোমেজ নামে এক আর্জেন্টিনা ভক্তের বানানো ওই পিটিশনের দাবি, কান্না থামাক ফরাসি সমর্থকরা। ফরাসিরা কান্না থামিয়ে বুঝে নিক যে মেসিই শ্রেষ্ঠ, আর এমবাপ্পে তার ছেলের সমান।
Leave a Reply